দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানি বাহিনীর ভয়ংকর অত্যাচার

যদি পুরো জাতির উপর আবছা সাধারণ মন্তব্য করি, তাহলে সবচেয়ে ভদ্র-নম্র বিনয়ী জাতির তালিকাতে জাপানি নাম প্রথমেই চলে আসবে। তবে সাধারণীকরণ করে মন্তব্য করার কোন মানে নেই যেহেতু প্রতিটি মানুষই ভিন্ন, কাল অবস্থার মাপকাঠিতে। তবুও বলছি আলোচনার স্বার্থে। এটিই মানতেই হবে যে জাপানিজরা তাদের বিনয়ী ব্যাবহার, আচার-আচরণ, ভদ্রতার জন্য উল্লেখিত। এই জাপানি জাতির রয়েছে ভয়ংকর অতীত যদিও সততা-ভদ্রতার বর্তমান ছাপিয়ে কিংবা লুকিয়ে রেখেছে এই অতীতকে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ছিল মানব জাতির জন্য অন্যতম নেক্কারজনক ঘটনা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের নাম শুনলেই মাথায় চলে আসে হিটলার আর নাৎসি বাহিনীর ইহুদী গণহত্যা, কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পের ভিতর অসহনীয় নির্যাতন। তবে আমরা ভুলে যাই যে জাপানি বাহিনীও এই দিক দিয়ে পিছিয়ে ছিল না। তারাও তৈরি করেছিলো কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প যেখানে চীনাদের উপর করা হতো এক্সপেরিমেন্ট। এনেস্থেশিয়া ব্যাবহার ছাড়াই চলতো সব বয়সী মানুষের উপর জীবচ্ছেদ পক্রিয়া।
সবচাইতে ভয়ংকর ব্যাপার ছিল জাপানি সৈন্যদের মধ্যে কেউ কেউ ছিল নরখাদক যারা যুদ্ধবন্দীদের মাংস খাদ্য হিসেবে নির্বাচন করতো। আবার জীবন্ত মানুষের থেকে মাংস কেটেও খেত কোন কোন সৈন্য।

ধর্ষণ চলতে থাকত। ধর্ষিত মহিলাদের উপর আবার চলতো এক্সপেরিমেন্ট যদি তারা গর্ভবতী হতো।

কুখ্যাত ইউনিট-৭৩১ এর বৈজ্ঞানিকরা চীনা যুদ্ধবন্দীদের উপর চালাত ভয়ানক এক্সপেরিমেন্ট যেখানে এনেস্থেশিয়া ছাড়া কাটা হতো দেহের অংস।
কেউ কেউ বলে, জাপানি বাহিনীর অত্যাচার ছিল নাৎসি বাহিনীর চেয়েও ভয়ংকর। তবে অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে জাপানিরা আজ মার্জিত জাতি।

 

Leave a Reply