গত ২৪ ঘণ্টায় গাজায় অন্তত ৬৩ জন নিহত হয়েছেন | ইসরায়েলি হামলায় ১ মাসে ৪০০০ এর বেশি ফিলিস্তিনি শিশু নিহত | এক মাসেরও কম সময়ে ১0,000 ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরাইল | পুলিশের সঙ্গে বাংলাদেশের পোশাক শ্রমিকদের সংঘর্ষ | গণতন্ত্রের সংজ্ঞা দেশে দেশে পরিবর্তিত হয় – শেখ হাসিনা | গাজা যুদ্ধ অঞ্চলে আশ্রয়কেন্দ্রে ইসরায়েলি হামলায় একাধিক বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে | মিসেস সায়মা ওয়াজেদ ডাব্লিউএইচও এর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের নেতৃত্বে মনোনীত হয়েছেন | গাজা এবং লেবাননে সাদা ফসফরাস ব্যবহৃত করেছে ইসরায়েল | বিক্ষোভে পুলিশ সদস্যের মৃত্যুর ঘটনায় বিরোধীদলের কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে – বাংলাদেশ পুলিশ | বাংলাদেশে ট্রেনের সংঘর্ষে ১৭ জন নিহত, আহত অনেক | সোশাল মিডিয়া এবং সাধারন মানূষের বোকামি | কেন গুগল ম্যাপ ফিলিস্তিন দেখায় না | ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ লাইভ: গাজা হাসপাতালে ‘গণহত্যা’ ৫০০ জনকে হত্যা করেছে ইসরাইল | গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ১,৪১৭ জন নিহতের মধ্যে ৪৪৭ শিশু এবং ২৪৮ জন নারী | হিজবুল্লাহ হামাসের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী। তারা কি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যোগ দেবে? | গাজাকে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করার অঙ্গীকার নেতানিয়াহুর | হার্ভার্ডের শিক্ষার্থীরা ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধের জন্য ‘বর্ণবাদী শাসনকে’ দোষারোপ করেছে, প্রাক্তন ছাত্রদের প্রতিক্রিয়া | জিম্বাবুয়েতে স্বর্ণ খনি ধসে অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে, উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত | সেল ফোনের বিকিরণ এবং পুরুষদের শুক্রাণুর হ্রাস | আফগান ভূমিকম্পে ২০৫৩ জন নিহত হয়েছে, তালেবান বলেছে, মৃতের সংখ্যা বেড়েছে | হামাসের হামলার পর দ্বিতীয় দিনের মতো যুদ্ধের ক্ষোভ হিসেবে গাজায় যুদ্ধ ঘোষণা ও বোমাবর্ষণ করেছে ইসরাইল | পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য রাশিয়া থেকে প্রথম ইউরেনিয়াম চালান পেল বাংলাদেশ | বাংলাদেশের রাজনীতিবিদ ও আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাদের ওপর ভিসা বিধিনিষেধের পলিসি বাস্তবায়ন শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র | হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যায় ভারতের সংশ্লিষ্টতার তদন্তে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছে কানাডা এবং যুক্তরাষ্ট্র | যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা সম্প্রতি বাংলাদেশের বিমানবাহিনী প্রধান হান্নানকে ভিসা দিতে অস্বীকার করেছে |

বাড়ি ফেরা

image source: https://pixabay.com

২০১২ সালের জানুয়ারির ১৯ তারিখ। বারটি হচ্ছে বৃহস্পতিবার। সফিকের সপ্তাহের এই বারটি সবচেয়ে প্রিয়। ঠিক যেই সপ্তাহ থেকে কলেজ জীবনের যাত্রা শুরু করেছে ঠিক ওই সপ্তাহ থেকেই। সফিক মানিকগঞ্জের সন্তান। কিন্তু ভালো পড়াশুনার জন্যে ঢাকার কলেজে ভর্তি হতে হয়। শহরে মন একবারেই টিকে না। মা আর মাটির কাছে তাকে যেতেই হবে সপ্তাহে একদিন। তাই সে শুক্রের বন্ধে বাড়ীতে যেতে ভুল করে না। ১৯ তারিখে ক্লাস শেষে যথারীতি গ্রামের ঠিকানায় রওনা দেয় সফিক। বিকেল তখন ৪.২০। যাত্রার প্রায় দুই ঘণ্টা পেরিয়েছে। পথ যদিও কম, তবে যানজটের বেহাল দশাতে গাড়ি যেন থমকে আছে। ৩ ঘণ্টা পর ঢাকা ছাড়তে পারলো বাস। গাড়ি চলছে শাঁ শাঁ গতিতে।
পাশের সিটে বসা এক ভদ্রলক জিজ্ঞেস করল, কই নামবেন, ভাই?
সফিক উত্তর দিল, ‘জাইগিরে নামবো, তারপর গুরখি মাস্টার বাড়ি।’
আগন্তুক ভদ্রলোক বলল, ভাই ওইদিকের জন্য কিছু পাবেন এত রাত্রে! রিকসা-টুকশা কিছু নাই মনে হয়। আপনি বরং আমার সাথে বাজারের দিকে নাইমেন। ওইখানে রিকশা আছে।”
সফিক অনেকটা বিরক্তের সাথে বলল, “দেখি, কি হয়; কিছু না পাইলে হাইঠা যাবো।”
আগন্তুক ভদ্রলকঃ “এত রাত্রে ওই রাস্তায় হাইঠা যাওয়া কি ঠিক হবে?”
সফিক কোন উত্তর দিল না।
রাত ১০ টার দিকে বাস থামলো জাইগিরে। শুধু সফিকই নামলো বাস থেকে।
আগন্তুক লোকটি ভুল কিছু বলে নাই। রিকশা তো দূরের কথা, একটা মানুষও নেই। সফিক প্রায় ২০ মিনিট যাবত দাড়িয়ে আছে যদি কোন দেখা পায় রিকশার। নাহ, কোন কিছুর হদিছ নেই। হাটা শুরু করলো সফিক।
শীত খুব বেশিই পরেছিল ওইবার। কুয়াশাতে সব কিছু কালো। মোবাইলের লাইটও বেশি কাজে আসছে না। দূরের জিনিস দেখার উপায় নেই। শুধু নিঃশ্বাসের ধুঁয়া উড়ছে সফিকের কাছ থেকে। সফিক খুব ভীতু প্রকৃতির নাহ যদিও, তবুও ঠাণ্ডা আর পরিবেশটা কেমন যেন এক অদ্ভুত অবস্থা তৈরি করেছে।
সফিক হাঠছে। জোনাকির শব্দ নিস্তব্ধতাকে ঢাকবার চেষ্টা করছে। তার সাথে আছে সঙ্গী পেঁচার ভুতুড়ে আওয়াজ। শ্মশানঘাঁটের কাছে আসতেই সফিকের বুকটা কেমন যেন থমকে উঠলো। খোলা মাঠের পরেই একটা ছোট্ট নদী। ঠাণ্ডা শুশু বাতাসের শব্দ আসছে। সফিকের খুব খারাপ লাগতে শুরু করলো। ঠাণ্ডাটা এখানে একটু বেশিই মনে হচ্ছে। ব্যাপারটা অদ্ভুত। সফিক নিজের মনকে বুঝাল যে, নদীর পাশে থাকার কারনেই এমন মনে হচ্ছে। সফিক খুব দ্রুত শ্মশান মাঠের পাশ দিয়ে এঁকেবেঁকে যাওয়া রাস্তা দিয়ে হাঠছে। যত তাড়াতাড়ি পার হওয়া যায়। হঠাৎ মনে হল কেউ যেন তাকিয়ে আছে দূর থেকে তার দিকে। একটু হাঠতেই আবার মনে হল এই বার সত্যি সত্যি কেউ পিছনে আছে। সফিক খুব চেষ্টা করছে পিছনে ফিরে না তাকানোর। পা হিম হয়ে যাচ্ছে। পা যেন আগাচ্ছেই না। কি যেন একটা অদ্ভুত শক্তি পা দুটোকে আটকে রেখেছে। এইবার মনে শক্তি নিয়ে আবার চেষ্টা করে হাঠা শুরু করলো। ব্রিজের সামনে প্রায় এসে গেছে। হঠাৎ সফিকের ফোনে রিং। “হেলো মা, আসছি আর ২০ মিনিট লাগবে”।
২০ জানুয়ারি সকালে, ব্রিজ থেকে ১০ মিনিট দূরত্বে নদীর ধারে একটি লাশ আটকে আছে গাছের খুঁটিতে। মাথাটা নামানো। যেন শান্তিতে শুয়ে আছে কর্দমাক্ত মাটিতে। সারারাত খুঁজতে থাকা হতভাগা মা’র বুঝতে আর সময় লাগলো না যে তার বাবা বাড়িতে এসে ঘুমিয়ে পরেছে।

Leave a Reply