১৫ টি অদ্ভুত ভীতি (ফোবিয়া) যা হয়তো আপনি আগে কখনও শুনেন নি

১৫ টি অদ্ভুত ভীতি (ফোবিয়া)

কোন বিশেষ বস্তু বা জীবন্ত জিনিসের উপর ভয় থাকা স্বাভাবিক। তবে ভয় যদি হয় যুক্তিহীন তখন আমরা তাকে বলি ফোবিয়া। একটা উদাহরণ দিলে, সাধারণ ভয় আর ফোবিয়ার মধ্যে পার্থক্যটি পরিষ্কার হবে। ধরুন, আপনি সাপ দেখলে ভয় পান। কে না পায়? তবে এই ভয় টি স্বাভাবিক। কারন সাপ কামড় দেয় আর সাপের কামড়ে আপনি মারা যেতে পারেন। তবে এখন যদি বলি আপনি সংখ্যা আটে ভয় পান কিংবা কালো মানুষ দেখলে ভয় পান, তাহলে এটি স্বাভাবিক না। একেই বলে ফোবিয়া।
আজকে আমরা দেখে নিবো ১৫ টি ফোবিয়া।

জ্যানথোফোবিয়া (হলুদ রঙের প্রতি ভয়)

গ্রিক শব্দ জ্যানথোস এর মানে হচ্ছে হলুদ। হলুদ রঙ দেখলে কেউর যদি ভয় কাজ করে, তবে তার জ্যানথোফোবিয়া আছে। যদিও এই ফোবিয়াটির পিছনে একটি ব্যাখ্যা আছে। এই ফোবিয়াতে আক্রান্ত মানুষ হলুদ রঙকে ভয় পায় কারন তাদের বাজে অভিজ্ঞতা ছিলো হলুদ রঙের সাথে। যেমন, মৌমাছির কামড়, হলুদ রঙের গাড়ির সামনে এক্সিডেন্ট করা। জ্যানথোফোবরা যখন হলুদ কিছুর সামনে পরে, তারা উদ্বেগে চোখ বন্ধ করে ফেলতে পারে। দুঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে, যারা মারাত্মক আকারে ভয় পায় হলুদ রঙে, তারা এমনকি হলুদ শব্দটি শুনলেও ভয় পেয়ে যেতে পারে। এই ফোবিয়ার ভুক্তভোগীরা হলুদ জাতীয় খাবার কলা, ডিম খেতে সাধারনত স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে না। তারা যেকোনো হলুদ জাতীয় জিনিসকেই এড়িয়ে চলার চেষ্টা করে।

( দুঃখিত হলুদ রঙের ছবি ব্যাবহার করার কারনে যদি কোন জ্যানথোফোব এই  ব্লগটি পড়ে থাকনে)

sunflower 1627193 960 720

Attribution: ulleo https://pixabay.com/images/id-1627193/

হিপ্পোপোটোমোন্সট্রৌসেসকুইপ্পেডালিওফোবিয়া ( লম্বা শব্দের ভয়)

হিপ্পোপোটোমোন্সট্রৌসেসকুইপ্পেডালিওফোবিয়া শব্দটি অদ্ভুদ রকমের বড়, তাই না? তবে এটি একটি ফোবিয়ার নাম। এই ফোবিয়াতে যারা থেকে থাকেন তাদের একধরনের উদ্বেগের জন্ম নয় , যখনই তারা দীর্ঘ কোন শব্দ দেখেন। দীর্ঘ শব্দ উচ্চারণে ভুল হওয়ার ভয় থেকেও দীর্ঘ শব্দের প্রতি এক ধরনের ভীতি কাজ করতে পারে। এটি খুব সাধারণত ডিসলেক্সিয়া( এক ধরনের লার্নিং ডিসঅর্ডার) রোগীদের মাঝে দেখা যায়। এই হিপ্পোপোটোমোন্সট্রৌসেসকুইপ্পেডালিওফোবিয়াকে সেসকুইপেডালিওফোবিয়া নামেও অভিহিত করা হয়ে থাকে।

সোমনিফোবিয়া ( ঘুমের ভয়)

ঘুম মোটামুটি হয়তো আমাদের সবার কাছেই সুখকর জিনিস। সারাদিন ক্লান্ত শরীর নিয়ে বিছানায় গেলেই ঘুমের প্রশান্তি পাওয়া যায়। সোমনিফোবিয়াতে যারা স্বীকার তাদের মাঝে ঘুম নিয়ে কাজ করে এক ধরনের অস্বাভাবিক উদ্বেগ। ঘুমাতে গেলেই এক ধরনের ভয় কাজ করে। এক জন সোমনিফোবিয়া থাকা রুগী বলেন, তিনি যখনই ঘুমাতে যান তখনই তার ভিতরে উদ্বেগের জন্ম নেয়। তিনি বোধহয় মারা যাচ্ছেন এমন ধরনের ভয়ংকর অনুভূতির জন্ম নেয়। যদিও পুরো শরীর ক্লান্ত থাকে এবং তার ঘুমের প্রয়োজন, তারপরেও তিনি ঘুমাতে যেতে পারেন না।
এই সোমনিফোবিয়া ইনসোমনিয়ার সাথে সম্পর্কিত। তবে এমন নয় যে, সব ইনসোমনিয়া রোগীই ভয় পান ঘুমাতে যেতে।

এরিথমোফোবিয়া (সংখ্যার ভয়)

সংখ্যা দেখলেই যদি ভয় কাজ করে তাহলে সেই ভয়কে বলা হয়ে থাকে এরিথমোফোবিয়া। গণিত করতে গেলে এই ভয়ে থাকা মানুষরা মারাত্মকভাবে উদ্বেগ, দুশ্চিন্তায় থাকে। বাস্তবিক জীবনে, তারা কোন সংখ্যা নিয়ে কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে না। এই ফোবিয়া প্রফেশনাল এবং প্রতিদিনকার জীবনে নেগেটিভ প্রভাব ফেলতে পারে।

অ্যাবলুটোফোবিয়া (গোসল করার ভয়)

মনোবিজ্ঞানে অতিরিক্ত পরিষ্কার থাকাকে ও. সি. ডি এর আওতায় এনে একটি ডিসঅর্ডার হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। আবার আরেকটি ফোবিয়া আছে যা তার ঠিক উল্টো। গোসল করার ভীতি কিংবা নিজেকে পরিষ্কার রাখার ভয়কে কে বলা হয় অ্যাবলুটোফোবিয়া। এই অযৌক্তিক ভয়টি কাজ করে বাচ্চাদের মাঝে। বয়স বাড়ার সাথে সাথে ভয় কেটে গিয়ে স্বাভাবিক পর্যায়ে এসে পরে। তবে কিছু মানুষের ক্ষেত্রে ভয় টিকে থাকে বয়স হবার পরেও। এতে করে আসেপাশে থাকা মানুষজনেরা অস্বস্তিকর পরিবেশে পরে । তবে এই ভীতিতে থাকা একজন ব্যক্তির পানির সামনে যাওয়া থেকে শুরু করে শরীর ভিজানো পর্যন্ত ঘটনা তাকে মারাত্মক উদ্বেগের মধ্যে রাখে।

আইসোপট্রোফোবিয়া ( আয়নাতে ভয়)

bathroom 3245330 960 720Attribution: qimono ,  https://pixabay.com/images/id-3245330/

আইসোপট্রোফোবিয়াতে থাকা ব্যক্তি আয়নার সামনে দাড়াতে ভয় পায়। তারা আয়নার দিকে তাকাতেই পারে না। আয়নাতে তাকালে এক ধরনের উদ্বেগের সৃষ্টি হয়। এই ভয় এমন মাত্রায় চলে যায় যে, মাঝে মাঝে যেকোনো জায়গাতেই তৈরি হওয়া প্রতিবিম্বের দিকে তাকাতে অসহ্যবোধ করে আইসোপট্রোফোবিয়াতে থাকা ব্যক্তি। অনেকসময় এই ভয়ের কারন হিসেবে কুসংস্কারকে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। এই ভয়ে থাকাদের মধ্যে কেউ কেউ বিশ্বাস করে, আয়নার মধ্যে অতিপ্রাকৃত কিছুর অস্তিত্ব আছে। আবার কেউর কেউর আত্মমর্যাদা কম থাকার কারনে আয়নার দিকে তাকাতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে না। আয়নার দিকে তাকানোর ফলে তাদের মাঝে এমনকি হতাশাও কাজ করতে পারে।

প্লুটোফোবিয়া (টাকার ভয়)

এই ফোবিয়া কেউর থাকতে পারে, হয়তো আপনি তা বিশ্বাস করবেন না। কিন্তু বাস্তবে এই ফোবিয়ার মানুষও আছে, যারা নিজেরা ধনী হওয়ার আশঙ্কায় ভীত থাকেন। তারা মনে করেন, তাদের ধনসম্পদ বেড়ে যাওয়ার কারনে, তাদের উপর অনেক দায়িত্ব বর্তিত হতে পারে। এই ধরনের ফোবিয়াতে থাকা একজন ব্যক্তি ধনী মানুষ কিংবা তাদের ধনসম্পদকে ভয় পায়। মনে করে, ওই ধনী ব্যক্তি দ্বারা সে ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। আবার তারা নিজে ধনী হওয়ার ভয় থেকে ক্যারিয়ার কিংবা আর্থিক সম্পদের বারোটা বাজিয়ে দিতে পারেন।

নমফোবিয়া (মোবাইল সাথে না থাকার ফোবিয়া)

আপনি কি ভয়ে থাকেন যখন আপনার মোবাইল সাথে না থাকে? হ্যাঁ, কিছু মানুষের এই ফোবিয়াটি আছে যারা মোবাইল ফোন ছাড়া থাকতে ভয় পায়। শুনতেও উদ্ভট শোনালেও বাস্তবে এমন ধরনের মানুষ আছে যারা উদ্বেগে আর চিন্তায় থাকে যখন মোবাইলের চার্জ শেষ হয়ে পরে। মোবাইল ব্যাবহার করতে না পারার কারনে খুব মারাত্মক আকারের উদ্বেগের লক্ষণও প্রকাশ পায় তাদের মাঝে।
বলা হয়ে থাকে, মোবাইলফোন ব্যাবহারের মারাত্মক নেশা থেকে এই ধরনের ফোবিয়ার সৃষ্টি হয়।

ডেক্সট্রোফোবিয়া ( নিজের ডান পাশে কিছু থাকার ভয়)

ডেক্সট্রোফোবিয়া হচ্ছে একটি অযৌক্তিক অস্বাভাবিক ভয় যেখানে মানুষ সাধারনত মনে করে তাদের ডান পাশে কিছু আছে। অনেকেই আছেন যারা তাদের ডান পাশে কোন জিনিসই রাখতে চান না কারন এটি এক ধরনের উদ্বেগের সৃষ্টি করে। অন্যদিকে লেভোফোবিয়াতে মানুষ মনে করে, তাদের বাম দিকে কিছু আছে।

সিডোরোফোবিয়া (তারার ভয়)

রাতে পরিষ্কার আকাশে তারা দেখতে কার না ভালো লাগে। কিন্তু আমাদের মধ্যে কেউ কেউ আছেন যারা রাতের তারাতে ভয় পান। অদ্ভুত হলেও সত্যি যে, এই ধরনের ফোবিয়াও আছে মানুষের মাঝে। যাদের সাধারণত সিডোরোফোবিয়া আছে, তারা আকাশের দিকে তাকালে এক অনুভূতির সৃষ্টি হয় যেখানে মহাবিশ্বের বিশালতা দেখে ভুক্তভোগীরা ভয় পেয়ে যায়।

milky way 2695569 960 720Attribution: FelixMittermeier, https://pixabay.com/images/id-2695569/

অক্টফোবিয়া (সংখ্যা ৮ এর প্রতি ভয়)

এরিথমোফোবিয়াতে ভুক্তভোগীরা ভয় পায় সংখ্যা দেখলে আর অক্টফোবিয়াতে যারা ভুক্তভোগী , তাদের শুধু সংখ্যা আট দেখলেই ভীতি জন্মে। এই ফোবিয়াটি জেনেটিক কারনেও হতে পারে। বলা হয়ে থাকে, কেউর বংশে যদি এই ফোবিয়াটি আগে থেকে থাকে, তাহলে তার হওয়ার ঝুঁকি আছে। এর কারন হচ্ছে, বিজ্ঞান বলে, বাবা মায়ের বংশানু ছেলে মেয়েদের কাছে পৌছায়।

বংশানুক্রমে পাওয়া মানসিক অসুস্থতা তৈরি হওয়ার প্রবণতাকে ডায়াথেসিস-স্ট্রেস রিলেশনশিপ বলা হয়ে থাকে। তবে এটি এমনি এমনিতেই সৃষ্টি হয় না, যদি না এমন কোন খারাপ ঘটনা ঘটে যেখানে সংখ্যা ৮ থাকে। তখনই এই ফোবিয়াটি ট্রিগারড হয়। অন্যান্য ফোবিয়ার মতো এখানেও ভুক্তভোগীদের মাঝে ফোবিয়ার বিষয়বস্তু এড়িয়ে চলার প্রবণতা লক্ষ করা যায়। সংখ্যা ৮ চিন্তায় আসলেই উদ্বেগের সৃষ্টি হয়। শরীর কাঁপা এবং ঘামও দিতে পারে।

ওম্ব্রোফোবিয়া (বর্ষাণাতঙ্ক, বৃষ্টিতে ভয়)

ওম্ব্রোফোবিয়া হচ্ছে আরেকটি সাধারণ এনক্সাইটি ডিসঅর্ডার, যেখানে মানুষ বৃষ্টি দেখে ভয় পায়। ওম্ব্রোফোবিয়া শব্দটি এসেছে গ্রিক শব্দ ওম্ব্রোস আর ফোবস থেকে। ওম্ব্রোস শব্দটির অর্থ হচ্ছে বৃষ্টির ঝর। ফোবোস মানে ভীতি।
বাচ্চারা মূলত ওম্ব্রোফোবিয়াতে বড়দের চাইতে বেশি শিকার হয়। বৃষ্টি শুরু হলে ওম্ব্রোফোবিয়ায় ভুক্তভোগী বাচ্চাদের মাঝে কিছু লক্ষণ দেখা দেয়। তার মধ্যে কান্নাকাটি করা, বৃষ্টি পর্যবেক্ষণ করার জন্য আকাশের দিকে বার বার তাকিয়ে থাকা কিংবা বন্যা হবে কিনা তা জিজ্ঞেস করা অন্যতম। আর বয়স্ক যারা আছেন তাদের হৃদকম্পন বেড়ে যায়, উদ্বেগ কিংবা প্যানিক অ্যাটাক, হাতপা কাঁপার মতো লক্ষণগুলি দেখা দিতে পারে।

এফবিফোবিয়া (টিনেজারদের ভয় পাওয়া, বিতৃষ্ণা প্রকাশ)

এখন যে ফোবিয়াটি নিয়ে বলবো তা আপনাদের মুখে হাসি এনে দিতে পারে। যদিও এটি একটি ফোবিয়া, তবে এই ফোবিয়া সত্যিকার অর্থেই হাস্যকর। কিশোর কিশোরীদের ভয় পাওয়া থেকে এই ফোবিয়া সৃষ্টি হয়। তবে গবেষকরা বলছেন , প্রতিটি জেনারেশনেরই বয়স্কদের মাঝে সামান্য পরিমানে হলেও এই ফোবিয়া পরিলক্ষিত হয়। আপনি প্রায়শই শুনেছিলেন হয়তো মুরব্বীদের কাছে, “কি যুগ আসলো, এখনকার দিনের ছেলেমেয়েগুলি আসলেই অভদ্র” এই জাতীয় কিছু। এক সময় হয়তো তাদেরকেও বলা হয়েছিলো। আবার এখন হয়তো আমাদের মাঝে কেউ কেউ একই ধরনের মন্তব্য কিংবা বোধ প্রকাশ করতে পারে এই যুগের কিশোর কিশোরীদেরকে নিয়ে।

লোগোফোবিয়া (পড়ার ভয়)

মানুষ জানার ইচ্ছা থেকেই পড়ে। অনেক সময় প্রয়োজনের তাগিদেও পড়তে হয়। তবে লোগোফোবিয়াতে যারা থাকেন তাদের মাঝে পড়ার ব্যাপারে কৌতূহল তো দূরের কথা, পড়ার প্রতি ভয় জন্মে। গ্রিক শব্দ লোগোস আর ফোবোস থেকে এসেছে লোগোফোবিয়া। লোগোস মানে হচ্ছে শব্দ।
যখন তাদের সামনে লেখা জাতীয় কিছু আনা হয়, তাদের নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয়। শরীর কাপতে শুরু করে। অথবা প্যারানয়েড হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা পরিলক্ষিত হয়। আর এক ধরনের অশান্তিও কাজ করে বার বার ভুল উচ্চারণ করার ফলে। এটিকে লার্নিং ডিসঅর্ডারও বলা হয়ে থাকে। বেশিরভাগ লোগোফোবিয়া ভুক্তভোগীরা পড়তে পারেন না।

book 1052014 960 720Atrribution: DariuszSankowski, https://pixabay.com/images/id-1052014/

ফোবোফোবিয়া (ফোবিয়া হওয়ার ভয়)

সবশেষে আলোচনায় আনলাম ফোবোফোবিয়াকে। একটি কারন আছে এর পিছনে।
ধরুন, আপনি ফোবিয়ার উপর এই ব্লগটি পড়তে পড়তে একটু ভয় পেয়ে গেলেন যে আপনার আবার কোন অযৌক্তিক ভীতি আছে কিনা তা নিয়ে। এবং পরবর্তীতে এই ভয় আস্তে আস্তে বেড়ে বড় ধরনের ভীতি হিসেবে দাঁড়ালো আপনার মাঝে। আচ্ছা, ভয় পাবেন না! আপনার এখনো ফোবোফোবিয়া হয় নি। উদাহরণ হিসেবে আপনাকে নির্বাচন করার কারন আপনিই পড়ছেন এই ব্লগটি। যাইহোক ফোবোফোবিয়া ভুক্তভোগীদের ক্ষেত্রে ভীতিটা একটু জটিল প্রক্রিয়াতে চলে। যেমন আপনি কোন একটি নির্দিষ্ট ফোবিয়া নিয়ে চিন্তিতি এবং ওই ফোবিয়া আপনার হোক সেটি আপনি চান না। তাই ভয়ে ওই বিষয়ে কোন লেখাই পড়তে চান না কিংবা ওই বিষয়ে কেউ কিছু বললে পরে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করেন।
গবেষক ক্যানেথ এস. ক্যান্ডলার, এম. ডি; জন মাইয়ারস, এম. এস; ক্যারোল এ. প্রেসকোট এর একটি আর্টিকেলে বলা হয়েছে যে , একজন ফোবোফোবিয়া ডিসঅর্ডারের ব্যক্তি তার পিতামাতার কাছ থেকেও এটি পেয়ে থাকতে পারেন।

 

মানুষের মন সত্যিকার অর্থেই বিচিত্র একটি জায়গা। বলতে পারেন জটিলও! সামান্য একটু ত্রুটিতেই ডিসঅর্ডার হয়ে যেতে পারে। অনেক ডিসঅর্ডার এর কারন আমরা এখনও জানি না কেন হয়।
আপনার জানামতে, কেউর অদ্ভুদ ভয় থেকে থাকলে কমেন্ট বক্সে শেয়ার করতে পারেন!

 

তথ্যসূত্রঃ

featured image credit: johnhain, https://pixabay.com/images/id-544404/

Leave a Reply