৩০ ফুট উঁচু থেকে বাচ্চা ছুঁড়ে ফেলার রীতি

বিশ্বাস মানুষকে অনেক কিছু করতে বাধ্য করে। এমন কি বিশ্বাস মৃত্যুর দিকেও নিয়ে যেতে পারে। “বিশ্বাস এ মিলায় বস্তু” হয়তো সব সময় একটি অযুহাত হিসেবে কাজ করে বিশ্বাসীর জন্যে। তবে তা যদি হয় ৩০ ফুট উঁচু থেকে কোন শিশুকে ছুঁড়ে মারা শুধু তার মঙ্গলের জন্য, তাহলে একবারের জন্যেও হয়তো সন্দেহ আসবে মনের ভীতর। মানুষ কি না বিশ্বাস করে?

জী, ৩০ ফুট উঁচু থেকে বাচ্চা ছুঁড়ে ফেলার এই প্রচলিত রীতি আপনাকে ভাবিয়ে তুলবে কেন মানুষ এতো অদ্ভুত। ভারতের মহারাষ্ট্র ও কর্ণাটক রাজ্যে প্রচলিত আছে এই রীতি যেখানে বিশ্বাসী হিন্দু মুসলিম নির্বিশেষে অংশগ্রহণ করে বাচ্চার মঙ্গলের জন্য। তারা মনে করে বাচ্চার ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হবে যদি ওই নির্দিষ্ট মাজার থেকে ছুঁড়ে ফেলা হয়। মাজারের ছাদ থেকে ৩০ ফুট নিচে থাকে টানটানা চাদর যেখানে শিশুকে ফেলা হয়।

তবে এই রীতির একটি ছোট্ট ইতিহাস আছে। উপকথায় আছে, ৭০০ বছর আগে এক সাধু মৃত্যুশয্যাপ্রায় সন্তানের বাবামাকে উপদেশ দিয়েছিলেন  যাতে তারা একটি মাজার তৈরি করে আর সেই মাজার থেকে ওই অসুস্থ বাচ্চাদের ছুঁড়ে মারে। উপদেশের উদ্দেশ্য ছিল ঈশ্বরের প্রতি বাবামার ভালোবাসা প্রদর্শনের নমুনা। আর তাই করে সেই রোগার্ত সন্তানের বাবামারা।

অলৌকিকভাবে সেই বাচ্চারা সুস্থ হয়ে উঠে। আর সেই থেকেই এই রীতি চলে আসছে।

যদিও এখন প্রশাসনের বাধার সম্মুখীন এই রীতি। কারন বাচ্চার জীবননাশের ঝুঁকি থাকে।

 

 

 

Leave a Reply