ইসরায়েলি বাসিন্দা, মানে সে ইহুদি। জন্মগত ভাবে ছাড়া কেউ চাইলে অন্য ধর্ম থেকে ইহুদি হতে পারে না। ইহুদিরা মুসলমানদের চির শত্রু, তারা মুসলমানদের উপর বিদ্বেষের কারণে যে অন্যায় অত্যাচার করে এতে করে তাদের প্রতি ঘৃণা, ধিক্কার ছাড়া কিছু আসে না।
যাইহোক তার প্রতি কিছু করার নাই, যদি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থায় থাকুক এটাই কাম্য, তবে মনে মনে তাকে সর্বোচ্চ ঘৃণা পোষণ করবো ……
আমার মতামত –
উত্তরটিতে লজিকের অভাব আছে। যদিও অভাবগুলো কি বললেও কোন লাভ হবেনা কারন উত্তরটি পড়লে বোঝা যায় এটি ইমোশন থেকে আসছে। লজিক দিয়ে কাজ হবেনা। ইমোশন যেকোন মানূষকেই বিপথে নিতে পারে।
এখন দেখি লজিকগুলো কি।
একজন বাংলাদেশি মুসলিমের জন্য সব চেয়ে বড় হুমকি কি ? আরেকজন বাংলাদেশি মুসলিম। কারন এই দেশে মুসলিমরা সংখ্যা গড়িষ্ঠ বললেও ভুল বলা হবে, প্রায় পুরো দেশটাই তো মুসলিমদের হাতে।
এখন খবরের কাগজে যতো খুন আর ধর্ষণের কাহিনি পড়বেন সবের ৯০ শতাংশের বেশি মুসলিমদের হবার সম্ভাবনাই বেশি। আর সেই হিসেব করলে একজন মুসলিমের জন্য সব চেয়ে বড় শত্রু ইহুদি না বরং আরেকজন মুসলিম।
আর ইসরায়েল যা করেছে ফিলিস্তিনিদের উপরে, তার চেয়ে অনেক বেশি করে গেছে পাকিস্তানিরা বাংলাদেশিদের উপর, সৌদি আরবিয় সুন্নিরা ইয়ামেনিদের উপর, ইরাক কুয়েত এবং স্বদেশী শিয়াদের উপর। এরকম মুসলিমদের হাতে করা গনহত্যার অভাব নেই। তাহলে মুসলিমদের যদি ঘৃণা না করেন তাহলে ইহুদিদের করবেন কেন ? কোরানের কোন জায়গাতে জাতি বিদ্ধেষের অনুমতি দেয় ?
এখন অনেক মুসলিমে লজিক দেবে যে তার প্রকৃত মুসলিম না যেটা ধান্ধাবাজি ছাড়া আর কিছুই না। কারন সেইম লজিক ইহুদিদের বা যেকোন ধর্মের মানূষের ক্ষেত্রে দেয়া যায়।
যেসব ঘটনার কারনে এই মুসলিমদের কে আপনি ইসরায়েলকে ঘৃণা করতে বললেন দেখা যাবে তার থেকে অনেক বেশি খারাপ করে গেছে এমন জাতিদের ক্ষেত্রে আপনি ক্ষমার কথা তুলবেন। তাই আসলে জাতি বিদ্ধেষ জিনিস টা এমন এরকম প্যারাডক্স তৈরি করবে।