শুক্রবার বান্দরবানের গুমধুমে মিয়ানমার সীমান্তের ওপার থেকে গুলি ও মর্টার ছোড়ায় এক রোহিঙ্গা শিশুসহ অন্তত একজন নিহত ও ছয়জন গুরুতর আহত হয়েছেন।
মর্টার শেল নো ম্যানস ল্যান্ডে পড়ে, সন্ধ্যায় তিনজন রোহিঙ্গা আহত হয়। জেলা প্রশাসক ইয়াসমিন পারভিন তিবরিজি জানিয়েছেন, তাদের মধ্যে একজন মোঃ ইকবাল (১৭) আহত হয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, কোনারপাড়ায় শাহ আলমের বাড়ির পাশে একটি ঝোপের মধ্যে গুলি বিদ্ধ হলে স্থানীয় লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
আগের দিন, তুমব্রুর হেডম্যানপাড়া সীমান্ত এলাকায় ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে এক বাংলাদেশি যুবক আহত হন। আহত ব্যক্তির নাম 22 বছর বয়সী আথওয়াইং তংচাঙ্গ্যা। বিস্ফোরণে তার একটি পা হারান তিনি।
শুক্রবার বিকেল সোয়া ৩টার দিকে মিয়ানমার সীমান্তের ৩৫ নম্বর পিলারের কাছে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানান, আথওয়াইং তার গবাদিপশু বাড়িতে আনতে সীমান্ত এলাকার কাছাকাছি গিয়ে ল্যান্ডমাইনে পা ফেলে।
আথওয়াইংকে প্রথমে কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতাল ও পরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়।
এদিকে এ ঘটনায় এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনার পর ওই এলাকায় টহল ও নজরদারি জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ।
স্থানীয়রা জানান, বাংলাদেশের সীমান্তে মিয়ানমারের বাহিনী শত শত মাইন পুঁতে রেখেছে। আগস্ট মাসে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) তুমব্রু নো ম্যানস ল্যান্ড এলাকায় মর্টার শেল নিক্ষেপ করলে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
২৮ আগস্ট ঘটনাস্থল থেকে দুটি অবিস্ফোরিত মর্টার শেল উদ্ধার করা হয়। ৩ সেপ্টেম্বর মিয়ানমারের হেলিকপ্টারগুলো নাইক্ষংছড়ি পয়েন্টে বাংলাদেশের আকাশসীমার ৩০০ থেকে ৪০০ গজের মধ্যে বেশ কয়েকবার অনুপ্রবেশ করে। যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার থেকে গোলা ও গুলি ছোড়া হয়েছে বলে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে ঢাকায় নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তিনবার তলব করেছে।