ভারতে নতুন ধরনের করোণা ভাইরাস সনাক্ত

ভারতে সংগৃহীত নমুনা থেকে করোনাভাইরাসটির একটি নতুন “ডাবল মিউট্যান্ট” রূপটি সনাক্ত করা হয়েছে।

বিজ্ঞানীরা পরীক্ষা করে দেখছেন যে একই ভাইরাসে দুটি মিউটেশন একসাথে হলে, এর ভ্যাকসিনগুলি অনেকটা অকার্যকর হয়ে পড়ে০।

“ডাবল মিউট্যান্ট” সংস্করন কী?
অন্যান্য ভাইরাসের মতো, করোনাভাইরাসগুলি এক ব্যক্তি থেকে আরেক ব্যক্তিতে সংক্রমনের সময় এর ছোট ছোট পরিবর্তন ঘটে।

এই রূপান্তরগুলির বেশিরভাগই গুরুত্তহীন এবং তা ভাইরাসের আচরন পরিবর্তন করে না।

কিন্তু কিছু কিছু মিউটেশন স্পাইক প্রোটিনে পরিবর্তন আনে যে প্রোটীন দিয়ে ভাইরাস মানুষের কোষের সাথে লেগে থাকে এবং কোষে প্রবেশ করে যা একে অনেক বেশি সংক্রমক করে তোলে এবং ভ্যাকসিনগুলোকে ক্রমশ অকার্যকর করে ফেলে।
ভ্যাক্সিনগূলো আমাদের শরীরের রোগপ্রতিরোধক আন্টিবডি তৈরিতে উদ্বুদ্ধ করে
যা সারস-কোভিড২ এর মত শ্বসনতন্ত্রের রোগগূলো থেকে রক্ষা পেতে সহায়তা করে।

এই অ্যান্টিবডিগুলোর মধ্যে সব থেকে কার্যকরী হলো নিরপেক্ষ অ্যান্টিবডি কারন এরা ভাইরাসগুলোকে মানব কোষে প্রবেশে বাধা প্রদান করে।

ভারতীয় জিনোম বিজ্ঞানীরা করোনাভাইরাস উপন্যাসটির একটি তথাকথিত “ডাবল রূপ” সনাক্ত করেছেন

সরকারীভাবে জানানো হয়েছে মহারাষ্ট্রের পশ্চিম রাজ্য থেকে সংগৃহীত নমুনাগুলি বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত বছরের ডিসেম্বরের তুলনায় E484Q এবং L452R মিউটেশন বেশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রি এক বিবৃতিতে বলেন, “এ জাতীয় রূপান্তর ভাইরাসটিকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এড়াতে এবং সংক্রামকতা বাড়িয়ে তোলে।”

Leave a Reply