সাকুরাজিমার আগ্নেওগিরির অগ্নুৎপাতে মারাত্মক ঝুকির মুখে হাজারো মানুষ

সাকুরাজিমার আগ্নেওগিরির অগ্নুৎপাতে মারাত্মক ঝুকির মুখে হাজারো মানুষ

জাপানিজ আগ্নেয়গিরিটি থেকে আগামী ২৫ বছর ধরে অগ্নুৎপাত হবার কথা যার ফলে এর নিকটস্থ শহর ও তার হাজার হাজার মানুষের জীবন এখন হুমকির মুখে । ইতিপূর্বে আগ্নেয়গিরিটির সর্বশেষ অগ্নুৎপাত ঘটে ১৯১৪ সালে যা কেড়ে নেয় ৫৮ জন মানুষের জীবন, ফেলে রেখে যায় কাগশিমা শহরের ধ্বংসস্তূপ । বর্তমানে পর্বতটির ছায়ায় ঢাকা এ শহরে বাস করে প্রায় ৬০৬০০০ জন বাসিন্দা যারা এ বছর ১লা থেকে ২৬শে জুলাইয়ের মধ্যে দেখেছেন আগ্নেয় গিরি থেকে নির্গত কমপক্ষে ৫০০০ মিটার উঁচু ছাইয়ের আস্তরন ।

আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের একটি দল জাপানের সর্বাধিক সক্রিয় আগ্নেয় গিরি গুলোর মধ্যে অন্যতম এই আগ্নেয়গিরিটির গতিবিধি ও প্লাম্বিং সিস্টেম কে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। সাকুরাজিমা আগ্নেয়গিরিটি বেশ অনেককাল ধরেই বিশেষজ্ঞদের গবেষনার মূল বিষয় বস্তু । এক্ষেত্রে তারা ব্যবহার করছেন জিপিএস,জিও ফিজিক্যাল ডেটা ও ত্রিডি কম্পিউতার ম্যাপিং । তারা জানতে পারেন যে সাকুরাজিমার জালামুখ থেকে প্রতি বছর প্রায় ১৪ লক্ষ ঘন মিটার পরিমান লাভা নির্গত হয় ।

তবে আগ্নেয়গিরিটির ছোট ছোট অগ্নুৎপাত দিয়ে এটি এর লাভার মজুদ কমাতে না পারার কারনে বড় ধরনের উদগিরনের সম্ভাবনা বহুগুন বেড়ে গিয়েছে । ১৯১৪ সালের উদগিরনের পরিমাণ ছিল ১.৫ ঘন কিলোমিটার যা প্রকৃত পক্ষেই বিপুল পরিমান এবং বিজ্ঞানীরা হিসাব করে ধারনা করছেন যে এই ধরনের উদগিরনের জন্য কমপক্ষে ১৩০ বছর ব্যবধান প্রয়োজন হয় । সেই হিসাবে আমরা এখনো ২৫ বছর পেছনে ।

তারা আশা করছেন যে তাদের এই আবিস্কার অগ্নুৎপাতের ব্যপারে পূর্বপ্রস্তুতি নিতে সাকুরাজিমার কর্তৃপক্ষ ও বিশ্বের অন্যন্য অঞ্চলের বাসিন্দাদের কাজে লাগবে । তারা বলেন যে এভাবে ঠিক কখন আগ্নেয়গিরি পুনরায় সক্রিয় হয়ে উঠবে তা যদি আগে থাকতেই বের করা সম্ভব হয় তবে এতে করে অসংখ্য জীবন বাচানো সম্ভব হবে ।

Leave a Reply