নতুন একটি পৃথিবী আকৃতির গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন জ্যোতির্বিদরা

নতুন একটি পৃথিবী আকৃতির গ্রহের সন্ধান

গতকাল ইউরোপিয়ান সাউদারন অবসারভেটরি ঘোষণা দিয়েছে যে জ্যোতির্বিদরা নতুন একটি পৃথিবী আকৃতি গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন যেটি আমাদের সৌরজগতের সবচেয়ে নিকটবর্তি নক্ষত্র প্রক্সিমা সেন্ট্রাই’কে প্রদক্ষিন করছে । তারা বলেন, আমরা প্রতিবছরই শত শত নতুন এক্সো-প্লানেট খুজে পাই , কিন্তু এটি আলাদা । এটি এর নক্ষত্র থেকে একেবারে ঠিক দূরত্বে আছে , থিওরী অনুসারে এটি প্রান ধারণের উপযোগী । এটি রয়েছে গোল্ডিলক্স জোনের ভেতরে, অর্থাৎ একটি নক্ষত্র থেকে যতটুকু দূরত্বে থাকলে গ্রহটি তরল পানি ধারন করতে পারে এই জোনটির নামি গোল্ডিলক্স জোন,একমাত্র গোল্ডিলক্স জোনে থাকা গ্রহ গুলোতেই প্রানের বিকাশ হওয়া সম্ভব ।

প্রক্সিমা সেন্ট্রাই এর সিস্টেমের অন্য দুটি নক্ষত্রের মত নয় বরং এটি একটি লাল বামন,আমাদের সূর্যের থেকে ছোট ও অপেক্ষাকৃত শীতল । যদিও গ্রহটিতে তরল পানি পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই বেশী, এর কক্ষপত পরিভ্রমণে লাগে এগার দিন এবং শক্তিশালী রেডিয়েশনের কারণে এতে যে আবহাওয়া তৈরি হবে তা আমাদের পৃথিবীর আবহাওয়া থেকে অনেক আলাদা হবে । আপনি যদি এ গ্রহে পৃথিবীর আকাশের মত অপূর্ব নীল আকাশ আশা করেন তাহলে আপনাকে কিছুটা আশাহত হতে হবে । কারণ এ গ্রহের আকাশ হবে লাল রঙের ।

জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা অবশ্য এই অমিলগুলোর ব্যপারে অবগত আছেন । তাহলে তবুও কেন তারা একে পৃথিবীর মত করে দেখাতে উঠে পড়ে লেগেছেন ? অনেকেই কল্পনা করছেন যে যদি কোন কারনে মানব জাতি পৃথিবীকে জীবনধারণের অযোগ্য করে ফেলে তাহলে মানূষের আবাস হতে পারে এই গ্রহটি । তবে পৃথিবীর পরিবেশের সমতুল্য কোন গ্রহ পাওয়া আরও একটি কারনে তাৎপর্যপূর্ণ যে এটি একটি প্রশ্নের উত্তর দেবে, যে ,আসলেই কি এই মহাবিশ্বে আমরা একা ?

একজন মহাকাশচারী এ ব্যাপারে বলেন যে মানুষ সবসময়ই জানতে চায় যে সে কোথা থেকে এসেছে,এই পৃথিবীতে, অন্য গ্রহগুলো সেই প্রশ্নের উত্তরের একটি বড় অংশ । আগামী বছর গুলোতে এই আবিস্কারকে আরও বিস্তারিতভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে । তাদের মতে পৃথিবীর সাথে অমিলগুলোর জন্য যে এ গ্রহের আবিস্কারটি তাৎপর্য হারিয়েছে তা নয় বরং এই আবিস্কার আমাদেরকে পৃথিবীর গুরুত্ব পুনরায় অনুধাবন করতে সাহায্য করেছে ।

 

Leave a Reply