সৌরজগতের দৈত্যাকার গ্রহগুলির বাইরে রয়েছে এক বিশাল অনাবিষ্কৃত অঞ্চল। বেশিরভাগ জ্যোতির্বিজ্ঞানীরাই মনে করেন যে এই অঞ্চলটি প্লূটোর মতো কতগুলো ছোট ছোট বরফাচ্ছাদিত গ্রহে পূর্ণ। বিশেষজ্ঞদের বেশ কয়েকটি গ্রুপ এই অঞ্চলে অবস্থিত গ্রহগুলো খুজে পেতে গবেষনা চালাচ্ছেন।
কেউ কে আবার সন্দেহ করছে যে হয়তোবা আরো বর কিছু রয়েছে সেখানে, যার ভর পৃথিবীর থেকে বেশ কয়েকগুণ বড়।
এই আনুমানিক গ্রহটীকে অনেকেই প্লানেট নাইন হিসেবে বলে থাকেন। এটি নিজের অস্তিত্ত জানান দেয় আশপাশের ছোট বরফাচ্ছাদিত গ্রহগুলোতে তার মধ্যাকরষন শক্তির প্রভাব দিয়ে। সমস্যা হল, সূর্য থেকে এত দূরে কিভাবে গ্রহের সৃষ্টি হওয়া সম্ভব তা কেউই ভাবতে পারছেননা।
আমরা সবাইই জানি বড় ভরের কোন বস্তু সেখানে রয়েছে, বলেন ব্রিটেনের ডারহাম ইউনিভারিসিটীর থিয়োরিস্ট জাকব সাল্টয।
কিন্তু যদি এটা গ্রহই বা না হয় তাহলে কি ? সাল্টয ধারনা করছেন এটি আরও চমকপ্রদ কিছুও হতে পারে, যেমন প্রাগঐতিহাসিক আদিম যুগের ব্ল্যাক হোল যেটার সৃষ্টি হয় বিগ ব্যাঙের কাছাকাছি সময়ে।
তার কথা যদি ঠিক হয় তবে এটি হবে এক অত্যাশ্চর্য আবিষ্কার! প্রাথমিক যুগের ব্ল্যাক হোল গূলো আমাদের কে বিশ্বের প্রাথমিক পর্যায়ের অবস্থা সম্পর্কে ধারনা দিতে পারে। এমনকি এতে হাইপোথেটীকাল ডার্ক ম্যাটারও থাকতে পারে, যে ম্যাটার এই মহাবিশ্ব ধরে রেখেছে।
এখন প্রশ্ন হলো, আমরা কীভাবে নির্ধারণ করতে পারি যে আমাদের সৌরজগতের শেষ প্রান্তে লুকিয়ে থাকা মহাকর্ষের রহস্যময় উৎসটি আসলে কী?