কথা বলতে গেলে অনেক সময় নার্ভাসে শব্দ জড়িয়ে যায় বা আটকে যায়। এর সমাধান কী?

ব্রিথিং এক্সারসাইজ করুন। কথা বলার সময় প্রচুর নিঃশাস নেবেন। দ্রুত কথা বলার চেস্টা করবেননা। অনেক সময় মনে হতে পারে যে দ্রুত না বললে মানূষ শুনবেনা এটা ভুল ধারনা। দ্রুত কথা বললেই মানূষের মাথার উপর দিয়ে কথা চলে যায়। কথা সব সময় ধীর-স্থির ভাবে বলবেন।

কথা বলার সময় হাসিঠাট্টার ব্যপার গুলো এড়িয়ে যাবেননা। মানূষ অনেক সময় আরেক মানূষের আপারেন্স, চেহারা, জামা কাপড় নিয়ে কথা বলে। মনে রাখবেন এগুলো ঠুনকো ব্যপার এগুলো নিয়ে কখনো রাগ করবেননা। বরং সমালোচনা গুলোকে হাস্যরসে পরিনত করুন।

সব সময় নিজেকে বলবেন, কথা বলা না বলা কোন প্রতিজোগিতা না, এটা কমিউনিকেশনের মাধ্যম। যার দরকার সে শুনবে, যার দরকার নেই সে শুনবেনা। কেউ এমন কথা বললো যেটা আপনার নীতির বিরুদ্ধে যায় সেগূলোকে দাম দেবেননা। কারন একজন মানূষ মুখে অনেক কথা বলে, কাজের সময় তার কমই করে।

কথা বলাটাকে কম ভ্যালু দিন। কখনোই শ্বাস বন্ধ করে রাখবেননা। সব সময় ধীরে ধীরে কথা বলবেন। ধীরে ধীরে বলতে বলতে এমনিতেই স্পীড এসে যাবে। নিজেকে কখনোই দ্রুত বলার জন্য প্রেশার দেবেননা। কেউ আজাইরা কথা শুরু করলে স্বরে যাবেন।

এখন দেখি সমালোচনাকে হাস্যরসে কিভাব পরিনত করবেন।

কেউ যদি আপনাকে বলে আপনি এত মোটা কেনো। বলবেন, জলহস্তি হবার চেস্টা করছি যেনো কেউ বাড়াবাড়ি করলে এক গুতো দিয়ে আমেরিকা পাঠিয়ে দিতে পারি।

কেউ যদি বলে আপনি এত চিকন কেন, বলবেন, হাওয়ায় ভাসার জন্য ডায়েট করছি। আরেক্টূ চিকন হলেই বাতাসে ভেসে যেতে পারবোন।

কেউ যদি বলে এত আস্তে কথা বলেন কেনো, বলবেন, এক সপ্তাহ না খেয়ে আসি তাই গলায় জোর নাই, চল আমাকে চাইনিজ খাওয়া তাইলে গলায় জোর পাবো।

[amp]

কেউ যদি বলে, এত জোরে কথা বলেন কেনো, বলবেন, বাথ্রুম চেপে রাখছি, তাই মুখ দিয়ে বেশি বেরোচ্ছে।

কেউ যদি বলে জামায় এত নোংরা কেন, বলবেন এতদিন জান্নাতে ছিলাম, জান্নাতে ধুলা ময়লা বেশি।

কেউ যদি বলে গায়ে এত গন্ধ কেন, বলবেন বাথ্রুম করে পানি নিতে ভুলে গেছিলাম তাই এত গন্ধ।

কেউ যদি বলে, তোতলাচ্ছেন কেনো বলবেন, রাস্তায় পাগলা কুকুর দেখে ডরাইছিলাম তাই তোতলাচ্ছি।

তবে খেয়াল রাখবেন, অবশ্যই কথার জবাব দেয়া গুরুত্তপুরন কোন ব্যপার না। তাই জবাব না দিলেও সমস্যা নাই।

 

Leave a Reply