সম্মানের প্রতীক, ভাল মন্দের মানদণ্ড নির্ণায়ক শ্রদ্ধেয় শিক্ষক মহাদয় ক্লাসের শেষ দিকে বললেন ” এই তোরা কালকে “শিশু নির্যাতন” রচনা মুখস্ত করে আসবি” ১০ বছর বয়সী সুজন বিকেলের খেলা শেষে সন্ধায় বই নিয়ে বসলো। শুরুতেই পড়া শেষ করতে হবে বাংলা। নইলে যে পিঠ হাত পায়ে পরবে বেতের ভালোবাসা। পড়া ছিল শিশু নির্যাতন রচনা। শুরুতেই এক লাইন তিনবার করে পড়ে রচনা গলাদকরন করার প্রস্তুতি শুরু করলো সুজন।
কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই শিশুসুলভ সুজন হারিয়ে গেলো হারিকেন আর মাছি নিয়ে খেলা করার জগতে। কিন্তু সেই জগত থেকে বের হবার পোর্টাল খুলতে বেশি সময় লাগলো না। ধপাস শব্দ!!! পরিশ্রমী মার হাতের থাপ্পড় খেয়ে সুজন আবার ফিরল শিশু নির্যাতন রচনায়। মাঃ এই তুই ভালো করে “শিশু নির্যাতনে অভিবাবকের ভূমিকা” পড়। ধরবো, না পারলে আজকে পিঠের চামড়া তুলে নিবো। যাইহোক অনেক কষ্ট করে মুখস্ত করলো সুজন।
পরেরদিন স্কুলে যথারীতি শিক্ষক পড়া ধরল আর বেত্রাঘাত চালু করল অই অবুঝ শিশুগুলির উপর। আর এভাবেই শিশু নির্যাতন রচনা বেঁচে থাকলো অবুঝ শিশুগুলির পিঠে।