জাম্বিয়ার চাঁদ ভ্রমণ

জাম্বিয়ার চাঁদ ভ্রমণ

জাগতিক সংসারে আমরা খুবই ক্ষুদ্র। অদেখা রয়ে গেছে অনেক কিছুই। তবে আফসোস করবার কিছুই নেই কারন কূলকিনারাহীন সময়ের খাতায় মানব সভ্যতার বিচরণ খুব বেশি দিনের নয়। মানুষ চাঁদে পাড়ি জমিয়েছিলো যদিও রয়েছে সত্য মিথ্যার কাঠগড়া। তবে যাই হোক আমাদের টার্গেট এখন মঙ্গল গ্রহ। আর এই মঙ্গল গ্রহের নাম নিলেই চলে আসে মার্কিন সংস্থা নাসা, স্পেস এক্স। যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া সমানে সমান পাল্লা দিচ্ছে মহাকাশ গবেষণায়। তবে এর আগে আরেকটি দেশও চাঁদ আর মঙ্গল গ্রহে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলো যার নাম শুনলে হতবাক হওয়া ছাড়া উপায় নেই। হ্যাঁ, দেশটির নাম জাম্বিয়া।

আফ্রিকার দেশ জাম্বিয়া ১৯৬৪ সালের ৩০ অক্টোবর স্বাধীনতা অর্জন করে। আর ঠিক ওই সময়ই চলছে মঙ্গল গ্রহে যাওয়ার প্রস্তুতি। আর এই স্পেস প্রোগ্রামের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন এডওয়ার্ড মাকুকা এনকলোসো ( Edward Makuka Nkoloso)।

তিনি দাবি করেন, জাম্বিয়ান নভোচারীরা প্রথমে যাবে চাঁদে, তারপর মঙ্গলগ্রহে। দুই পরাশক্তি রাশিয়া আর যুক্তরাষ্ট্রকে হারিয়ে জাম্বিয়া বিজয়ী হবে এই স্পেস দৌড়ে।
প্রস্তুত করছিলেন তার এলুমুনিয়াম আর কপারের রকেট যা বহন করবে ১০ জন জাম্বিয়ান পুরুষ , ১৭ বছরের একটি মেয়ে আর সাথে তার একটি বিড়াল।

১৯৬৫ সালের ভিতেরই চাঁদে পৌঁছাবে তার এই রকেট।
উচ্চাবিলাশি এই এডওয়ার্ড কি সক্ষমতা রাখতেন চাঁদ কিংবা মঙ্গলে যাওয়ার! প্রশ্নের উত্তর দিতে গেলে প্রথমেই তার শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে আরেকটি প্রশ্ন তুলা যেতে পারে। যদিও যে কেউই নিজ জ্ঞান দ্বারা আলোকিত হতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে আমাদের আলোচনার এডওয়ার্ড ছিলেন সাধারন স্কুল শিক্ষক। যদিও তিনি দাবি করেন তার হেডকোয়ার্টার ছিলো লুসাকাতে যেখানে তিনি প্রশিক্ষণ দিচ্ছিলেন কীভাবে উদ্ভট উপায়ে চাঁদে যাওয়া যায়।
অবশ্যই এই পাগলামি বাস্তবতায় পরিণত হয়নি।
ব্যর্থতার কারন হিসেবে দায়ী করা হয় ওই প্রোগ্রামে থাকা অবস্থায় গর্ভবতী হওয়া এক নভোচারীকে আর সাথে ছিলো না পাওয়া ৭০০ মিলিয়ন ডলারের এক বাজেট যা এডওয়ার্ড দাবী করেন ইউনেস্কোর কাছে।

Leave a Reply