হুজুর বা আলেমদের চেয়ে চার্চের ফাদাররা সাধারনত সুন্দর ও মিস্ট ভাষায় মানূষকে বুঝিয়ে থাকেন? এটার যৌক্তিকতা কতটুকু ?

প্রশ্নঃ আমার এক মুসলিম বন্ধু বললো “হুজুর বা আলেমদের চেয়ে চার্চের ফাদাররা সাধারন মানুষদের খুব ভালো ভাবে তাদের মিষ্ট ভাষার মাধ্যমে বুঝাইতে সক্ষম কিন্তু ইমাম বা আলেমগণ এক্ষেত্রে উগ্র স্বভাব প্রকাশ করে“।

তার এমন মন্তব্যের প্রতিত্তোর হিসেবে আমি তাকে কী বলতে পারি?

উত্তরঃ

উত্তরে বলতে পারেন, এদের সবার কাজ একই, চাকরি করা। তারা মাস শেষে বেতন নেয়। কেউ মিস্টি স্বরে কাজ করে, কেউ চড়া স্বরে। একটা প্রফেশনে সবাই খারাপ ব্যবহার করে এটা ভাবাটাও যেমন অযৌক্তিক, একটা ক্যাটগরিতে সবাই ভালো আশা করাও অযৌক্তিক।

খ্রীস্টানদের সমাজে প্রায়শই একটা কৌতুক চলে, তা হলো, চার্চের ফাদারদের চরিত্র অনেক ভালো কারন তারা নারী সংস্পর্শ থেকে দূরে থাকেন। তাদের নারী ভালো লাগেনা, তাদের ভালো লাগে অল্প বয়সী ছেলেদের। কেন ভালো লাগে সেটা তাকে এক্টূ খোজ নিয়ে দেখতে বলবেন। চার্চের ফাদারদের নিয়ে অনেক অপরকরমের ঘটনা রয়েছে। সেগূলোর হিসাব নিলে তাদের আমলনামাতেই বেশি অপকর্ম দেখতে পাবেন নিশ্চিত ভাবে।

যৌন নির্যাতনের দায়ে অভিযুক্ত প্রায় ১,৭00 পুরোহিত

কে ভালো কে মন্দ পরিসংখ্যান করেও বুঝতে পারবেননা। কাউকে পুরো পুরি ধোয়া তুলসী না ভাবাই ভালো। সব সমাজেই ভালো-মন্দ থাকে। এটার সাথে ধর্মের সম্পর্ক নেই। শুধুমাত্র যারা জাতি বিদ্দেষি, তারাই তাদের জীবনের বিভিন্ন সমস্যার জন্য অন্য কোন জাতিকে দায়ী করে থাকে।

দক্ষিন এশিয়ার এই প্রান্তে মূলত ইসলাম বিদ্দেষি প্রচারনা করে থাকে হিন্দুত্তবাদি চরমপন্থি একটা গোত্র। তারা ১৮ কোট মানূষের দেশের একটা দুটো ঘটনা বড় করে দেখিয়া দেশের অবস্থার একটা ভ্রান্ত ধারনা দেয়। যদি এরকম কারও সামনে পরেন তাদেরকে ভারতে প্রতি দিন ঘটে যাওয়া ১’শোরও বেশি শিশু যৌন নির্যাতনের কাজ গুলোর কত অংশ মুসলিম আলেমগন করে আর কত অংশ হিন্দুরা করে অবশ্যই জিজ্ঞেস করতে ভুলবেননা।

Leave a Reply