সমালোচনা আইন করে বন্ধ করার কুফল

একটা দেশে যখন সামরিক শাসন বা একদলীয় শাসন চালু হয় তখন প্রায়শই দেখা যায় শাসকশ্রেণী সব ধরনের গঠনমূলক সমালোচনার পথ বন্ধ করে দেয়। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় সমালোচনা করলে রাস্ট্রদ্রোহের মামলা দিয়ে জেলে পুরে দেয়া হয়।

এসব কারনে দেশের সকল শ্রেনীই মূলত সমালোচনা করা থেকে পিছুপা হয়ে পরে। কিন্তু যখন গবেষক, সমালোচক সবাই একসাথে সমালোচনা পুরোপুরি বন্ধ করে দেয় এবং চাটুকারে পূর্ণ হয়ে যায় শাসক সম্প্রদায় তখন কি হয় ?

সমালোচনা বন্ধ করলে দেশের অবস্থা হয় ব্রেক ফেল করা গাড়ির মত যার চালক হচ্ছে সরকার বা এক নায়ক। আর নিরব যাত্রী দেশের মানুষ। গাড়ির বিভিন্ন সমস্যা তখন চোখে পড়লেও জানানো সম্ভব হয়না। চালকের পক্ষে সব সমস্যা বোঝাও সম্ভব নয়। এজন্য প্রয়োজন হয়ে গবেষক আর অভিজ্ঞ মানূষের।

যারা গাড়িতে বিভিন্ন সমস্যা দেখে, কিংবা টায়ারে ফূটো দেখে, কিংবা সামনে খাদ দেখতে পায় কেউ তখন আর চালককে সাবধান করার সাহস পায়না কারন চালকের সমালোচনা করলে অনেক ক্ষেত্রে সমগ্র পরিবার নিয়ে মহা বিপদে পরতে হবে। শাস্তির ভয়ে তখন সবাই মুখ বুজে থাকে।

তাই বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই যাদের সূজোগ আছে গাড়ি থেকেই নেমে পড়ে। অর্থাৎ দেশত্যাগ করে উন্নত বিশ্বের পাড়ি জমায়।



আর চাটুকার এবং অপদার্থে নিয়ে সরকার যন্ত্র কখনোই কোন সমস্যার কার্যকরী কোন সমাধান করতে পারেনা কারন সমস্যার সমাধান করার মত যোগ্য লোকগুলোকে আগেই গায়েব করে দেয়া হয়ে থাকে। যোগ্য লোক না থাকলে উন্নতির আশা করাও আসলে বোকামি।

সমালোচনা বন্ধ করার কুফল মূলত এটাই, সব রকমের উন্নতি বন্ধ হয়ে যায়। কারন উন্নতি আসে সমস্যার সমাধানের সাথে সাথে। সমালোচনার অভাবে সমস্যা সনাক্তকরন  পুরোপুরি বন্ধই হয়ে যায়।

Leave a Reply