ভারতের মুসলিম গরিষ্ঠ এলাকায় পাকিস্তান প্রীতির কারণ কী?

ভারতে যে হারে হিন্দু চরমপন্থিদের উপদ্রব বাড়ছে তাতে মুসলিমেরা পারমানবিক ক্ষমতাধর পাকিস্তানের দিকে ঝুকে পরবে এটাই সাভাবিক। প্রতিনিয়ত মার দিলে কুকুরেও উলটো ঘাউ দেয়। মুসলিমদের উপর উপদ্রব অন্যায় করতে করতে এই মুসলিম গোত্রগুলো শক্ত পোক্ত আর চরমপন্থি হয়ে যাবে। একটা মুসলিম যখন পিটিয়ে হত্যা করা হয় তখন ভেবে দেখুন কতগুলো হিন্দু বিদেষি তৈরি হয় ? এই মুসলিমের মা-বাবা-সন্তান-নাতিপুতি। এভাবেই তৈরি হয় বিদ্বেষ। হিন্দুদের বিদ্দেষের পেছনেও কারন আছে। কিন্তু সমস্যা চলো চরমপন্থি হিন্দুগুলো কয়েকশো না বরং প্রায় হাজার বছর আগে কবে কোন হিন্দুর উপর অত্যাচার হয়েছে এগুলোকে পুজি করে বিভিন্ন এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে। অতীত ঘাটলে হিন্দু রাজাদের অত্যাচারের আমলনামাও তো পাওয়া যাবে। সবার পাছাতেই তো গু থাকে। তাই এত পেছনে গেলে কি বিদ্দেষ কখনো কমবে ?

পাকিস্তান,ভারত কিংবা যেকোন দেশেই এই ধরনের চরমপন্থি দমন করা না হলে দেশ আর গনতান্ত্রিক থাকেনা। আর চরমপন্থা দিয়ে বেশিদিন দেশ নামের যন্ত্র চালানো যায়না। এরা উন্নতির নামে মাইনোরিটীর উপর চরম অবিচার চালায়। হিটলার এই কাজ করেছিলো। তুর্কি সুলতানেরা এই কাজ করেছে, হিন্দু রাজা জমিদাররা এই কাজ করছে। যুগে যুগে চরমপন্থিরা সমাজের পর সমাজে বিশৃঙ্খলা তৈরি করে আসছে।

তার উপর চীন তো আছেই। ভারতকে আস্তে আস্তে বিভিন্ন ভাবে বাশ দেয়া হবে। আর যার জন্য দায় মুত্রখোর চরমপন্থি আর বেশ বড় একটা গোত্র যারা তাদের লাই দিলো। এরকম চরমপন্থি সব দেশেই থাকে, তবে এদের লাই দিলে এরা মাথায় চড়ে বসে এবং দেশে জাতিগত বিদ্দেষের জন্ম দেয়। প্রাথমিক ভাবে মেজরিটির কাছে এগুলো ভালো লাগলেও এদের অন্যায় উপদ্রব মাইনোরিটিকে উস্কে দেয় আর শক্তপোক্ত করে। আর তখন বিদেশি প্রতিপক্ষরা সুজোগ নেয়।

আর ভারতে আসলে হিন্দু চরমপন্থি কম না। যদি কম হতো তাহলে শুধু কিছু মানূষের কাছে গরু আর মা সমান হবার কারনে সেটাকে আইন করে নিষিদ্ধ করে দেয়া হতোনা। ভারত তো নিরপেক্ষ বা সেকুলার দেশ না। সেকুলার দেশে এই ধরনের গোড়ামি ইনভেসিভ আইন থাকেনা। মুত্র পান, মাইনোরিটির উপর আক্রমন, খুন ধর্ষণ এসব নিয়ন্ত্রন করতে না পারলে দেশ গব্বশ্রাদ্ধে যায়।

আমাদের দেশে একটা কথা আছে, দেশে দুর্নীতির পয়সায় কোটিপতিরা কেন ভারতে আস্তানা গারেনা ? কারন, ভারতে তো গাড়ি চাপা দিয়ে এদের টাকা লুট করা হবে তাই। আর এই ধরনের দেশ উন্নত দেশে পরিনত হবার আশা আসলে নিতান্তই দুরাশা। আমেরিকার দিকে তাকালেই বুঝবেন যে ক্ষমতার দম্ভ দেখিয়ে ছোটদের দমন করার পরিনতি কখণো ভালো হয়না। প্রতি দুমিনিটে একজন আমেরিকান যৌন হয়রানির শিকার হয়। কারন ছোট দেশগুলোকে দমন পীড়ন নিয়ে এরা ব্যস্ত থাকে, নাগরিকদের ভালো মন্দ দেখার সময় কোথায় ?