৯৫০ এর দশকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কার্ট রিখটার ইঁদুরের পানিতে কতক্ষণ থাকতে পারে তা জানার জন্য একটি ভয়াবহ পরীক্ষা করেছিলেন।
রিখটার প্রথমে এক ডজন ইঁদুর নিয়েছিল, আধা ভরা জারে তাদের ছেড়ে দেন এবং তাদের ডূবে মরা পর্যবেক্ষণ করেন। কাচের জারটি খুব বড় ছিল তাই ইঁদুরগুলি পাশগুলিতে আটকে থাকতে পারে না বা এগুলি থেকে লাফিয়ে উঠতে পারেনি।
গড়ে তারা ১৫ মিনিট পরে হাল ছেড়ে ডুবে মারা যায়।
পরবর্তীতে রিখটারটি আবার পরীক্ষাটির পুনরাবৃত্তি করেন তবে একটু আলাদা ভাবে।
ক্লান্তির কারণে ইদুরগুলো হাল ছেড়ে দেবার ঠিক আগে গবেষকরা তাদের বের করে ফেলতেন, শুকিয়ে ফেলতেন, কয়েক মিনিট বিশ্রামে রাখতেন – এবং তাদের দ্বিতীয় দফায় তাদের পুনরায় পানি ভর্তি জারটিতে ফেলেন।
দ্বিতীয়বার তারা কতক্ষণ বেচে থাকে বলে আপনি মনে করেন?
মনে রাখবেন – মাত্র কয়েক মিনিট আগে তারা ব্যর্থতা অবধি সাঁতার কাটছিল।
কতক্ষণ ভাবুন তো?
আরও ১৫ মিনিট?
১০ মিনিট?
৫ মিনিট?
১ ঘন্টা ?
না!
তারা গড়ে ৬০ ঘন্টা সাতড়ে ছিল!
এটি কোনও ত্রুটি নয়।
পুরোপুরি ঠিক রেজাল্ট! সাঁতারে ৬০ ঘন্টা।
রিখটারের ফলাফল থেকে দেখা গেছে যে ডুব দেওয়ার ঠিক আগে ইঁদুরগুলি অপসারণ করার পর সেই একই ইঁদুরগুলি পরের বার বালতিতে রাখার পরে প্রায় ২৪০x গুন বেশি সাঁতার কাটতে পারে।
এর মধ্যে একটি ইদুর ছিল যেটি প্রায় ৮১ ঘন্টা ধরে সাতড়েছিল।
গবেষনাটির উপসংহার টানা হয় এই বলে যে যেহেতু ইঁদুরগুলো সম্ভবত বিশ্বাস করেছিল যে তারা শেষ পর্যন্ত উদ্ধার পাবে, তাই তারা সেই উদ্ধার পাবার আশায় আপ্রান প্রচেস্টা চালিয়েছিল এবং নিজেদের শক্তির শেষ সীমা পর্যন্ত নিয়ে গিয়েছিল।
এই গল্পটি প্রায়শই ইতিবাচক মনোবিজ্ঞানে “আশা এবং আশাবাদ” এর গুরুত্বের উদাহরন হিসাবে দেখানো হয়।
এটা অনেকটাই প্রমাণিত যে বেশিরভাগ লোকেরা যখন উৎসাহ পান তখন তারা “আরও” করতে পারেন .. এবং যখন তাদের যথেষ্ট প্রশংসা না হয় তখন “থেমে” যায়।