ব্ল্যাক উইডো মাকড়সা
ব্ল্যাক উইডোর কথা আমরা অনেকেই শুনেছি। যে প্রেম করে, এবং তার প্রেমিককে খেয়ে ফেলে। এখন আসি তার শিকার, পুরুষ ব্ল্যাক উইডোর কথায়। ছোট, অল্প বিষাক্ত আর আকৃতিতে বেশ ছোট আর কিউট তাইনা ? আসুন তাকে নিয়ে একটু কথা বলে নেই যেন বোঝা যায় আসলেই এখানে সে কতটুকু ভিকটিম।
ক্যালিফোর্নিয়াতে এ ধরনের ব্লাক উইডোর দেখা পাওয়া যায়। এরা সুন্দর করে জাল বোনা যা বেশ সুন্দর হলেও শিকারের জন্য তা অত্যন্ত মারাত্মক অনেক বড় আকৃতির পোকার এই জালে আটকে গেলে আর রক্ষা নেই। আর যখন ব্ল্যাক উইডো তার শিকার কে কামড় দেয়, তা আস্তে আস্তে শিকারকে অবশ করে ফেলে।
তবে তার জালে শুধু শিকারই থাকেনা, অনেক সময় আসে পুরুষ ব্ল্যাক উইডো। পুরুষ উইডো জাল বোনেনা, বরং সে আসে নারীটির বোণা জালে এবং নারীটিকে নিজের বলে ঘোষনা করে সে নারী মাকড়সাটীর কস্টে বোনা জাল কাটা শুরু করে।
এর কারন, এই জালে নারীটির ফেরোমোন রয়েছে যার গন্ধ অন্য পুরুষ মাকড়সাদেরও আকর্ষণ করতে পারে যা এই পুরুষ ব্ল্যাক উইডোটি একেবারেই কাম্য নয়। তাই সে এই জাল কেটে নিজের শরীরে তৈরি সিল্ক মেখে দেয় যেন নাড়ীটির ফেরোমোন একেবারে ঢেকে যায়।
নারী ব্ল্যাক উইডোর কস্টে বোনা জালের বারোটা বাজানো শেষ হলে সে আসে তার কাছে এবং নারীটির শরীর তার সিল্ক দিয়ে এখে দেয় যাকে বিশেষজ্ঞরা ব্রাইডাল ভেইল বলে থাকেন। ফলে পুরুষটির ফেরোমোনে ঢেকে যায় নারীটির দেহ।
প্রেম শেষে সে নারীটির দেহে একটি বিশেষ অংগ রেখে যায় যা পরবর্তীতে অন্য কোন মাকড়সার সাথে এই নারী মাকড়সার মিলন হতে বিরত রাখে।
প্রেমের সময় পুরুষ মাকড়সা টি অনেকটা ইচ্ছাকৃত ভাবেই নারীটির মুখের সামনে নিজেকে রাখে যেন তার আগ্রহ চলে না যায়, এ যেন এক ভোজনের আমন্ত্রন আর নিজের শরীর উৎসর্গ করা। মৃত্যুর আগে পুরুষটি বেশ কয়েকবার প্রেমিকার সাথে মিলিত হবে, বিশেষজ্ঞরা একে বলে থাকেন আত্মউতসরগ যা তার পূর্বে কৃত কর্মের সাথে তুলনা করলে যথাপোযুক্তই বলা চলে! এরপর নারী মাকড়সটী বেশ সময় করেই তার প্রেমিকের শরীরে পুষ্টিকর অংশগুলো ভক্ষন করবে।