যদিও কোভিড -১৯ ‘এ শিশু মৃত্যুর ঘটনা খুবই বিরল অথচ মহামারী শুরু হবার পর থেকে ব্রাজিলে এই রোগে প্রায় ১৩০০ শিশু মারা গিয়েছে ।
স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের প্রাপ্ত তথ্যে দেখা গেছে যে কোভিড -১৯-এ প্রায় ৮০০’রও বেশি ৯ বছরের নিচের বাচ্চা মারা গিয়েছে যার মধ্যে প্রায় ৫০০’ই নবজাতক শিশু। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে প্রকৃত মৃত্যুর সংখ্যা বেশি কারণ ব্যপক হারে ভাইরাসের পরীক্ষার অভাবে আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা অজানা রয়ে গেছে।
আন্তর্জাতিক বেসরকারী সংস্থা ভাইটাল স্ট্র্যাটেজিজের সিনিয়র উপদেষ্টা হিসাবে থাকা শীর্ষস্থানীয় মহামারী বিশেষজ্ঞ সাও পাওলো বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাঃ ফাতেমা মেরিনহো অনুমান করেছেন যে এই ভাইরাসটি ১,৩০২ জন শিশু সহ ৯ বছরের কম বয়সী প্রায় ২০৬০ শিশুর প্রানহানি ঘটিয়েছে। তার এই পরিসংখ্যান মহামারী চলাকালীন সময়ে তীব্র শ্বাসযন্ত্রের রোগে অতিরিক্ত মৃত্যুর সংখ্যার ভিত্তিতে তৈরি।
কোভিড -১৯-এর জন্য শিশুরা কম ঝুঁকিতে রয়েছে এই ধারনাকে ভুল প্রমান করেছে ব্রাজিলের পরিস্থিতি। মেরিনহো জানিয়েছেন যে তিনি দেখেছেন গত বছরের তুলনায় অজানা শ্বাসকষ্টের রোগে মৃত্যুর সংখা এ বছর দশগুণেরও বেশি।
মেরিনহো আরও যোগ করেন, তাঁর গবেষণা চলাকালীন সময়ে তিনি ব্রাজিলিয়ান বাচ্চাদের মধ্যে মাল্টিসিস্টেম ইনফ্ল্যামেটরি সিনড্রোম এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে দেখেছেন। রেয়ার সিন্ড্রোম হচ্ছে একটি নতুন চিহ্নিত সমস্যা যা কোভিড ১৯’এর ভাইরাসটির সাথে সম্পর্কিত এবং এটি গুরুতর স্বাস্থ্য পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। এটি করোনাভাইরাসতে আক্রান্ত হওয়ার ছয় সপ্তাহ পর্যন্ত বাচ্চাদের প্রভাবিত করে।
মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকে ব্রাজিল দ্বিতীয় বৃহত্তম সর্বাধিক সংখ্যক কোভিড -১৯ এর মৃত্যুর দেশ হয়ে উঠেছে, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি।
সাংবাদিকদের সাথে ব্রিফিংয়ে ডক্টর্স উইথ আউট বর্ডারসের সভাপতি ডঃ ক্রিস্টোস ক্রিস্টো বলেন, “কোভিড -১৯ মহামারী এক বছরেরও বেশি সময় ধরে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থতার কারনে ব্রাজিলে মানবিক বিপর্যয় ঘটেছে।” “প্রতি সপ্তাহে মৃত্যু এবং সংক্রমণের নতুন রেকর্ড তৈরি হচ্ছে- হাসপাতালগুলি উপচে পড়ছে, এবং এখনও কোনও সমন্বিত কেন্দ্রীয় প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে না।”
Source : Internet