বিশ্বের দ্বিতীয় দূষিত শহর ঢাকা

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা বিশ্বের অন্যতম দূষিত শহর। 2022 সালে, এটি ওয়ার্ল্ড এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স দ্বারা বিশ্বের দ্বিতীয় দূষিত শহর হিসাবে স্থান পেয়েছে। শহরের বাতাসের গুণমান প্রায়শই এতটাই খারাপ যে এটিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দ্বারা “বিপজ্জনক” হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছে।

ঢাকার বায়ু দূষণের পেছনে অনেকগুলো কারণ রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় অবদান হলো যানজট। ঢাকার জনসংখ্যা 20 মিলিয়নেরও বেশি, এবং শহরের রাস্তাগুলি প্রায়শই যানজটে জমে থাকে। এই যানজটের কারণে যানবাহন থেকে প্রচুর পরিমাণে দূষণকারী পদার্থ নির্গত হয়।

ঢাকার বায়ু দূষণের আরেকটি বড় অবদান হল রান্না ও গরম করার জন্য জৈব পদার্থ পোড়ানো। বাংলাদেশে, 90% এরও বেশি পরিবার জৈব জ্বালানী যেমন কাঠ, কাঠকয়লা এবং গোবর দিয়ে রান্না করে। এই জ্বালানী পোড়ানোর ফলে বাতাসে প্রচুর পরিমাণে দূষক নির্গত হয়।

যানজট এবং বায়োমাস পোড়ানো ছাড়াও, ঢাকার বায়ু দূষণে অবদান রাখার অন্যান্য কারণগুলির মধ্যে রয়েছে শিল্প নির্গমন, নির্মাণস্থল থেকে ধুলাবালি এবং কৃষি পোড়ানো।

ঢাকার বায়ু দূষণ শহরের বাসিন্দাদের স্বাস্থ্যের উপর বেশ কিছু নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। বাতাসের দূষিত পদার্থ হাঁপানি, ব্রঙ্কাইটিস এবং নিউমোনিয়া সহ বিভিন্ন ধরনের শ্বাসকষ্টের কারণ হতে পারে। বায়ু দূষণ হৃদরোগ, স্ট্রোক এবং ক্যান্সারের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দিতে পারে।

ঢাকার বায়ু দূষণের সমস্যা সম্পর্কে বাংলাদেশ সরকার সচেতন। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, সরকার সমস্যা সমাধানের জন্য বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে:

পাবলিক ট্রান্সপোর্টে বিনিয়োগ
ক্লিনার জ্বালানির ব্যবহার প্রচার করা
গাছ রোপণ
পরিবেশগত বিধি প্রয়োগ করা
তবে ঢাকার বায়ু দূষণের সমস্যা মোকাবেলায় আরও কিছু করা দরকার। সরকারকে পাবলিক ট্রান্সপোর্টে বিনিয়োগ চালিয়ে যেতে হবে, ক্লিনার ফুয়েলের ব্যবহারকে উৎসাহিত করতে হবে এবং পরিবেশগত বিধি প্রয়োগ করতে হবে। বায়ু দূষণ কমাতে নতুন প্রযুক্তির বিকাশ ও বাস্তবায়নের জন্য সরকারকে বেসরকারি খাতের সঙ্গে কাজ করতে হবে।

ঢাকার বায়ু দূষণ একটি মারাত্মক সমস্যা যা শহরের বাসিন্দাদের স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এই সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশ সরকারকে আরও পদক্ষেপ নিতে হবে।

তথ্যসূত্র

Bangladesh most polluted country of the World