বর্ণ কাকে বলে? বর্ণ কত প্রকার কী?

বর্ণ হলো ভাষার মৌলিক শব্দতত্ত্বের একক, যা ধ্বনি বা ধ্বনির প্রতীক হিসেবে কাজ করে। এটি ভাষার শব্দ বা বাক্য গঠনের জন্য ব্যবহৃত হয়। বর্ণকে ধ্বনি বা স্বরধ্বনির প্রতীকও বলা হয়, এবং প্রতিটি ভাষায় বিভিন্ন বর্ণ ব্যবহার করা হয়।

বর্ণের প্রকারভেদ

বর্ণ সাধারণত দুই প্রকার:

  1. স্বরবর্ণ: যে বর্ণ উচ্চারণের সময় মুখের ভেতর দিয়ে বাধাহীনভাবে বের হয়, তাকে স্বরবর্ণ বলে। বাংলা ভাষায় ১১টি স্বরবর্ণ রয়েছে:
    • অ, আ, ই, ঈ, উ, ঊ, ঋ, এ, ঐ, ও, ঔ
  2. ব্যঞ্জনবর্ণ: যে বর্ণ উচ্চারণের সময় মুখের ভেতরের কোনো অঙ্গের সাহায্যে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে বের হয়, তাকে ব্যঞ্জনবর্ণ বলে। বাংলা ভাষায় ৩৯টি ব্যঞ্জনবর্ণ রয়েছে:
    • ক, খ, গ, ঘ, ঙ, চ, ছ, জ, ঝ, ঞ, ট, ঠ, ড, ঢ, ণ, ত, থ, দ, ধ, ন, প, ফ, ব, ভ, ম, য, র, ল, শ, ষ, স, হ, ক্ষ, ঙ, ঞ, ণ, ম

এছাড়াও, বাংলা ভাষায় যুক্তবর্ণ নামক আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ রয়েছে, যা দুটি বা ততোধিক ব্যঞ্জনবর্ণ মিলে তৈরি হয়, যেমন: ক্ত, ঙ্গ, ষ্ট, দ্দ, ইত্যাদি।

About Mahmud

Leave a Reply