গয়েশ্বর চক্রবর্তীকে পিটিয়ে আহত করেছে পুলিশ

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সিনিয়র নেতা গয়েশ্বর চক্রবর্তী মঙ্গলবার রাতে পুলিশের হাতে মারধরের শিকার হয়েছেন। ঢাকায় হাইকোর্টের কাছে ঘটনাটি ঘটে, যেখানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সমর্থনে একটি সমাবেশে যোগ দিচ্ছিলেন চক্রবর্তী।

প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, বিএনপি নেতাকর্মী ও পুলিশের মধ্যে ধস্তাধস্তিতে হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করলে একদল পুলিশ কর্মকর্তা চক্রবর্তীর ওপর হামলা চালায়। পুলিশ আধিকারিকরা চক্রবর্তীকে ঘুষি ও লাথি মেরেছে এবং তাকে মারধর করার জন্য লাঠিও ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ।

চক্রবর্তীকে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে তার আঘাতের জন্য চিকিৎসা করা হয়। এরপর থেকে তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেও তিনি এখনও যন্ত্রণায় ভুগছেন।

বিএনপি চক্রবর্তীর ওপর হামলার নিন্দা জানিয়েছে এবং জড়িত পুলিশ কর্মকর্তাদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে। পুলিশও ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

চক্রবর্তীর ওপর পুলিশের হামলা এই প্রথম নয়। 2015 সালে, তিনি সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সময় পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন এবং মারধর করেন।

চক্রবর্তীর ওপর হামলা বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক সহিংসতারই স্মরণ করিয়ে দেয়। বিএনপি এবং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বহু বছর ধরে তিক্ত রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতায় লিপ্ত রয়েছে এবং এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা প্রায়শই সহিংসতার দিকে নিয়ে গেছে।

সরকার রাজনৈতিক সহিংসতা রোধে পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও এখন পর্যন্ত এসব প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়নি। চক্রবর্তীর উপর হামলা একটি অনুস্মারক যে রাজনৈতিক সহিংসতা থেকে নাগরিকদের রক্ষা করার জন্য সরকারকে আরও কিছু করতে হবে।

উপরোক্ত ছাড়াও, এখানে ঘটনা সম্পর্কে আরও কিছু বিবরণ রয়েছে:

মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
দুর্নীতির অভিযোগে বর্তমানে কারাগারে থাকা খালেদা জিয়ার সমর্থনে সমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন চক্রবর্তী।
ঢাকায় হাইকোর্টের কাছে সমাবেশ হচ্ছিল।
বিএনপি নেতাকর্মী ও পুলিশের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয় এবং চক্রবর্তী হস্তক্ষেপের চেষ্টা করেন।
পুলিশ আধিকারিকরা চক্রবর্তীর উপর হামলা করেছে বলে অভিযোগ করেছে কারণ তারা বিশ্বাস করেছিল যে তিনি সহিংসতা উসকে দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
চক্রবর্তীকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানে তাকে আহত অবস্থায় চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এরপর থেকে তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেও তিনি এখনও যন্ত্রণায় ভুগছেন।
বিএনপি চক্রবর্তীর ওপর হামলার নিন্দা জানিয়েছে এবং জড়িত পুলিশ কর্মকর্তাদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে।
পুলিশও ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
চক্রবর্তীর উপর হামলা একটি গুরুতর বিষয়, এবং এটি বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক সহিংসতার স্মরণ করিয়ে দেয়। সরকারকে তার নাগরিকদের রাজনৈতিক সহিংসতা থেকে রক্ষা করার জন্য পদক্ষেপ নিতে হবে এবং এটি অবিলম্বে করা দরকার।