পদ কাকে বলে? কত প্রকার ও কী কী?

পদ কাকে বলে? কত প্রকার ও কী কী?

পদ হলো বাংলা ব্যাকরণের একটি মৌলিক উপাদান। কোনো বাক্য গঠনের ক্ষেত্রে আমরা যেসব শব্দ ব্যবহার করি, সেগুলোকেই পদ বলে। এই পদগুলো মিলে মিলেই একটি বাক্য গঠিত হয়।

পদের প্রকারভেদ:

বাংলা ব্যাকরণে সাধারণত পদকে চারটি প্রধান ভাগে ভাগ করা হয়:

  1. নাম পদ: কোনো ব্যক্তি, স্থান, বস্তু বা ধারণাকে বোঝাতে যে পদ ব্যবহৃত হয়, তাকে নাম পদ বলে।

    • উদাহরণ: রাম, ঢাকা, কলম, সুখ
  2. আখ্যাত পদ: কোনো কাজ, অবস্থা বা ঘটনাকে বোঝাতে যে পদ ব্যবহৃত হয়, তাকে আখ্যাত পদ বলে।

    • উদাহরণ: খায়, লেখে, ঘুমাচ্ছে, হয়
  3. উপসর্গ পদ: কোনো নাম পদ বা আখ্যাত পদের আগে বসে তার অর্থ পরিবর্তন করে এমন পদকে উপসর্গ পদ বলে।

    • উদাহরণ: অতি, অনেক, খুব, খুবই
  4. নিপাত পদ: বাক্যে অন্য পদের সঙ্গে মিলে মিশে বাক্যের অর্থকে স্পষ্ট করে এমন পদকে নিপাত পদ বলে।

    • উদাহরণ: হ্যাঁ, না, আরে, ওহ

পদের আরও কিছু বিভাজন:

  • বিশেষ্য পদ: কোনো ব্যক্তি, স্থান, বস্তু বা ধারণাকে নির্দেশ করে।
  • বিশেষণ পদ: কোনো নাম পদের গুণ বা বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করে।
  • ক্রিয়া পদ: কোনো কাজ, অবস্থা বা ঘটনা বোঝায়।
  • কর্ম পদ: ক্রিয়ার উপর যে পদ কাজ করে, তাকে কর্ম পদ বলে।
  • করণ পদ: কোনো কাজ যে দ্বারা করা হয়, তাকে করণ পদ বলে।
  • সম্বন্ধ পদ: দুটি পদের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করে।

উদাহরণ:

  • রাম (নাম পদ) কলমে (করণ পদ) লেখে (ক্রিয়া পদ)।
  • ঢাকা (নাম পদ) শহর (বিশেষণ পদ) খুব (উপসর্গ পদ) সুন্দর (বিশেষণ পদ)।

About Mahmud

Check Also

বিয়ের পর শূদ্র কনেকে স্বামীর বাড়িতে যাওয়ার পরিবর্তে কমপক্ষে ৩ রাত ‘সেবা’ করার জন্য ব্রাহ্মণের বাড়িতে যেতে হতো

বিয়ের পর শূদ্র কনেকে স্বামীর বাড়িতে যাওয়ার পরিবর্তে কমপক্ষে ৩ রাত ‘সেবা’ করার জন্য ব্রাহ্মণের বাড়িতে যেতে হতো

ভারতের হিন্দু ধরমের সংষ্কৃতি অনুযায়ী বিয়ের পর শূদ্র কনেকে স্বামীর বাড়িতে যাওয়ার পরিবর্তে ব্রাহ্মণের বাড়িতে …

Leave a Reply