সার্জারি সম্পর্কে অনেক কিছুই আমরা জানিনা। তাই আমরা কথায় কথায় সার্জারির চিন্তা করি। অনলাইনে একটা বোকা লোক দেখেছিলাম যে তার চেহারা উন্নত করার জন্য ক্রমাগত সার্জারি করে, শুধু প্রথম সার্জারিটার কথা বাদ দিলে বাকি গুলো অনেকটা আসে প্রথম সার্জারির সমস্যা থেকে।
এই ধরুন সে তার নাকটা সোজার করলো অপারেশন করে। কিন্তু অপারেশন মানে হলো কাটাছেড়া, আর কাটাছেড়ার প্রশ্ন তখনই আসে যখন সমস্যা হয় জীবন মরন। কিন্তু এই লোক নাক সোজার করার পর কয়দিন পর লক্ষ করে যে তার নাক ছোট হয়ে যাচ্ছে।
যার কারন ছিল স্কার টিস্যু। শরীরের কোন অংশ কাটলে সেখানে স্কার টিস্যু তৈরি হয়। এটাই শরীরের হিলিং মেকানিজম। আর এই স্কার টিস্যু স্বাভাবিক টিস্যুর মত নরম বা স্থিতিস্থাপক নয়। তাই এটি কখনোই স্বাভাবিক হয়না। অনেকটা লাইফ লং সিচুয়েশনের মত।
যাই হোক, এই টিস্যু ফরমের কারনে তার নাক ছোট আর বেটপ হয়ে যাওয়ায় সে নিঃশাস নিতে পারতোনা। বেশ কয়েকটা সার্জারির পর ডাক্তার বলে দিয়েছে এখন এত স্কার টিস্যু জমা হয়েছে যে আর অপারেশন করলে নাক ফেলে দিতে হবে।
এখন কথা হল, আপনার গাল বড় ছোট এটা কি জীবন মরন সমস্যা যদি হয়, তাহলে এই রকম একটা ঝুঁকি নিতে পারেন। প্রথম সার্জারিতে যা ঠিক হবেনা তা দ্বিতীয় সার্জারিতে। এমনো হতে পারে, প্রথম সার্জারির কোন ভুলের কারনে প্রচুর ব্যথা হবে, সেই ব্যথা কমাতে ঠেকায় পরে একটার পর একটা সার্জারি অবশেষে প্লাস্টিকের বেটপ আর ভয়ানক।