সহবাসের দোয়া ও নিয়ম

সহবাসের দোয়া ও নিয়ম
ইসলামে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক (সহবাস) একটি গুরুত্বপূর্ণ ও পবিত্র বিষয় হিসেবে বিবেচিত। সহবাসের আগে ও পরে কিছু দোয়া এবং নিয়ম রয়েছে, যা পালন করা সুন্নত ও সওয়াবের কাজ।

সহবাসের দোয়া:

সহবাসের শুরুতে দোয়া পড়া সুন্নত, যা সুরক্ষার জন্য আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়ার একটি মাধ্যম। সহবাসের আগে নিচের দোয়া পড়া উচিত:

দোয়া:
بِسْمِ اللَّهِ، اللَّهُمَّ جَنِّبْنَا الشَّيْطَانَ، وَجَنِّبِ الشَّيْطَانَ مَا رَزَقْتَنَا
উচ্চারণ:
“বিসমিল্লাহ, আল্লাহুম্মা জান্নিবনাশ শাইতান, ওয়া জান্নিবিশ শাইতানা মা রজাকতানা।”
অর্থ:
“আল্লাহর নামে শুরু করছি। হে আল্লাহ, আমাদেরকে শয়তান থেকে দূরে রাখুন এবং শয়তানকে আমাদের সন্তানের থেকে দূরে রাখুন।”

এই দোয়া পড়ার ফজিলত হলো, সহবাস থেকে যদি কোনো সন্তান জন্মগ্রহণ করে, তাহলে শয়তান তার কোনো ক্ষতি করতে পারবে না।

সহবাসের নিয়ম:

১. সহবাসের সময় সুরক্ষা ও গোপনীয়তা:
স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সহবাস একটি পবিত্র সম্পর্ক। তাই গোপনীয়তা রক্ষা করা উচিত এবং অন্য কারো সামনে এটি হওয়া উচিত নয়। এ সম্পর্কে রাসূল (সা.) বলেছেন যে, স্বামী-স্ত্রীর গোপনীয়তা রক্ষা করা এবং এটিকে সম্মান করা উচিত।

২. অযু করা:
সহবাসের আগে ও পরে অযু করা সুন্নত। সহবাসের পর গোসল ফরয, তবে মাঝে মধ্যে ইচ্ছে হলে আবার সহবাসের আগে নতুন করে অযু করতে পারেন।

  1. মুখে দোয়া পড়া:
    সহবাসের শুরুতে ও শেষে আল্লাহর নাম উচ্চারণ করা (উপরে বর্ণিত দোয়া পড়া) সুন্নত। এতে শয়তান থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
  2. গোসল করা:
    সহবাসের পর পাক হতে গোসল করা ফরয। গোসলের নিয়ম হলো সারা শরীর ভালোভাবে পানি দিয়ে ধোয়া এবং বিশেষভাবে মাথা ও পুরো শরীর ভালোভাবে পবিত্র করা।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা:

  • সহবাসের সময় পারস্পরিক সম্মান ও ভালোবাসা বজায় রাখা উচিত। সহবাস শুধু শারীরিক নয়, বরং এটি দুজনের মানসিক সম্পর্ককেও মজবুত করে।
  • সহবাসের সময় কাবার দিকে মুখ না করা এবং লজ্জাস্থান খোলা না রাখার ব্যাপারে ইসলামি শিষ্টাচার মেনে চলা উচিত।

ইসলামে স্বামী-স্ত্রীর সহবাসকে পবিত্র ও গুরুত্বপূর্ণ একটি সম্পর্ক হিসেবে দেখা হয়, যা সঠিক নিয়ম ও দোয়ার মাধ্যমে আরও পবিত্র এবং সুরক্ষিত করা যায়।

About Mahmud

Leave a Reply