নজরুল ইসলাম, যিনি “বিদ্রোহী কবি” নামে পরিচিত, বাংলা সাহিত্যের একটি অমর ব্যক্তিত্ব। এখানে তাঁর সম্পর্কে ২০টি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উল্লেখ করা হলো:
- জন্ম: নজরুল ইসলাম ২৫ মে ১৮৯৯ সালে পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
- শিক্ষা: তিনি প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে পরে কলকাতার একটি মাদ্রাসায় ভর্তি হন, কিন্তু পরে সেখান থেকে বিতাড়িত হন।
- সামাজিক আন্দোলন: নজরুল সামাজিক ন্যায় ও সাম্যবাদী চেতনার জন্য পরিচিত ছিলেন এবং তাঁর রচনায় প্রগতিশীল রাজনৈতিক ভাবনা প্রকাশ পেয়েছে।
- কবিতা ও গান: তিনি কবিতা, গান এবং নাটক রচনা করেছেন। তাঁর রচিত গান “মোর গানের ওপারে” এবং “দুর্জয় প্রেম” জনপ্রিয়।
- বিদ্রোহী কবি: “বিদ্রোহী” নামক কবিতায় তিনি বিদ্রোহের চেতনা ও সামাজিক অশান্তির বিরুদ্ধে লিখেছেন।
- মুক্তিযুদ্ধ: তিনি বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতি সমর্থন জানান।
- কাব্যশৈলী: তাঁর লেখায় বিশেষত হিন্দু ও মুসলিম উভয় সংস্কৃতির প্রভাব স্পষ্ট।
- জাতীয় সংগীত: “একি তো প্রেম” গানটি বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত হিসেবে গৃহীত হয়েছে।
- বঙ্গবন্ধুর প্রভাব: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে তাঁর সম্পর্ক ছিল গভীর। বঙ্গবন্ধু তাঁকে “জাতীয় কবি” হিসেবে অভিহিত করেছিলেন।
- সাংস্কৃতিক পরিচিতি: তিনি সাহিত্য, সংগীত, নাটক এবং চলচ্চিত্রের নানা ক্ষেত্রে অবদান রেখেছেন।
- সাময়িকী প্রকাশনা: “ধূমকেতু” পত্রিকা তিনি প্রতিষ্ঠা করেন, যা তখনকার সময়ের জনপ্রিয় সাময়িকী ছিল।
- পদক ও পুরস্কার: তিনি অসংখ্য সম্মাননা ও পুরস্কার অর্জন করেছেন, যার মধ্যে “জ্ঞানপীঠ” পুরস্কার উল্লেখযোগ্য।
- বঙ্গভঙ্গ আন্দোলন: বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনে তাঁর অবদান বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
- রোগ: ১৯৪২ সালে তিনি একটি গুরুতর রোগে আক্রান্ত হন, যা তাঁর লেখার ক্ষমতা ব্যাপকভাবে ক্ষুণ্ণ করে।
- মৃত্যু: নজরুল ইসলাম ২৯ আগস্ট ১৯৭৬ সালে কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন।
- উত্তরাধিকার: তাঁর কাজ এবং চিন্তাভাবনা পরবর্তী প্রজন্মের কবিদের জন্য একটি শক্তিশালী উৎস হয়ে রয়েছে।
- নজরুল সঙ্গীত: তিনি নজরুল সঙ্গীতের স্রষ্টা, যা বর্তমানে বাংলা সংগীতের একটি বিশেষ শাখা।
- তথ্যপ্রযুক্তি: নজরুলের লেখা এখনও বিভিন্ন মাধ্যমের মাধ্যমে প্রচারিত হচ্ছে, যেমন বই, অডিও এবং ভিডিও।
- জন্মশতবার্ষিকী: ১৯৯৯ সালে তাঁর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করা হয়, যা বিশেষভাবে পালন করা হয়।
- সমসাময়িক সাহিত্য: নজরুলের প্রভাব বাংলা সাহিত্যে এখনও বিশাল, এবং তাঁর কাজের প্রতি আগ্রহ আজও অব্যাহত রয়েছে।
নজরুল ইসলামের এই তথ্যগুলো তাঁর সাহিত্যকর্ম ও সাংস্কৃতিক অবদানের প্রেক্ষাপটে তাঁর গুরুত্ব তুলে ধরে।