কঠিন বিপদ থেকে রেহাই পেতে দোয়া
কঠিন সময় অথবা বিপদের সম্মুখীন হলে আমরা সকলেই আল্লাহর কাছে দোয়া করি। ইসলামে বিপদ থেকে মুক্তির জন্য অনেক দোয়া বর্ণিত আছে। এখানে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য দোয়া উল্লেখ করা হল:
প্রায়োগিক কিছু দোয়া
- “আল্লাহুম্মা ইন্না নাজআলুকা ফি নুহুরিহিম, ওয়া নাউজুবিকা মিন শুরুরিহিম।”
- অর্থ: “হে আল্লাহ! আমরা তোমাকেই তাদের মুখোমুখি করছি এবং তাদের অনিষ্টতা থেকে তোমারই কাছে আশ্রয় চাচ্ছি।”
- “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহুল হাজিমুল হালিম, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু রাব্বুল আরশিল আজিম, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু রাব্বুস সামাওয়াতি ওয়াল আরদি-ওয়া রাব্বুল আরশিল কারিম।”
- অর্থ: “আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই, তিনি পরম সহিষ্ণু ও মহাজ্ঞানী। আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই, তিনি মহান আরশের প্রভু। আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই, তিনি আকাশমণ্ডলী, জমিন ও মহাসম্মানিত আরশের প্রভু।”
- “আল্লাহুম্মা লা সাহলা ইল্লা মা জায়ালতাহু সাহলান, ওয়াআনতা তাজআলুল হুযনা সাহলান ইযা শিইতা।”
- অর্থ: “ইয়া আল্লাহ, কোনো বিষয়ই সহজ নয়। হ্যাঁ, যাকে তুমি সহজ করে দাও। তুমি চাইলে সকল দুঃখকে সহজ করে দিতে পারো।”
- “ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন, আল্লাহুম্মা আজিরনি ফি মুসিবাতি ওয়া আখলিফ-লি খাইরাম মিনহা।”
- অর্থ: “আমরা আল্লাহরই এবং আমরা আল্লাহর দিকেই ফিরে যাব। হে আল্লাহ, আমার এই বিপদে সবর করার তাওফিক দাও এবং এর বদলে আমাকে আরও উত্তম কিছু দাও।”
দোয়া করার সময় মনে রাখবেন:
- বিশ্বাস: আল্লাহ তা’আলা অবশ্যই আপনার দোয়া কবুল করবেন এই বিশ্বাস রাখুন।
- নিষ্ঠা: মনোযোগ সহকারে দোয়া করুন।
- ভক্তি: আল্লাহর কাছে নিজেকে ছোট করে দোয়া করুন।
- ধৈর্য: দোয়া করার পর ধৈর্য ধরে থাকুন। আল্লাহ তা’আলা সর্বশ্রোতা এবং সর্বজ্ঞ। তিনি যখন ইচ্ছা করবেন আপনার দোয়া কবুল করবেন।
- সৎকর্ম: দোয়ার পাশাপাশি সৎকর্মও করতে থাকুন।
আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
- সুন্নত অনুযায়ী দোয়া করা: নবী করীম (সা.) যেভাবে দোয়া করতেন, সেভাবে দোয়া করার চেষ্টা করুন।
- দোয়া শিখা: বিভিন্ন দোয়া শিখে রাখুন এবং প্রয়োজন অনুযায়ী পাঠ করুন।
- সম্প্রদায়ের দুআ: সম্প্রদায়ের সাথে মিলে দোয়া করলে তা আরও বেশি কার্যকরী হতে পারে।
মনে রাখবেন: দোয়া হল একজন মুমিনের শক্তিশালী অস্ত্র। বিপদের সময় আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাইলে তিনি অবশ্যই আপনার ডাকে সাড়া দেবেন।