ইসলাম এবং মাদ্রাসা বড় একটা কাজে লাগে, সেটা হলো ক্যাপিটালিজমের জন্য বেন্ডেবল সিটিজেন তৈরি করা এবং ফেভারেবল এনভায়রনমেন্ট বজায় রাখা। সুপারন্যাচারাল আইটেম গুলো বাদদিলে ইসলামের শিক্ষা আর মাদ্রাসার বাস্তবতার দিকে তাকালে ব্যপারটা বুঝতে পারবেন।
এটা মুলত এলিটদের জন্য ওয়ারক ফোড়সটাকে অটুট রাখতে মুখ্য ভুমিকা পালন করে।
বুঝলেননা ব্যপারটা? বুঝিয়ে বলি।
প্রথমত, বাংলাদেশের অবস্থা বেশি ভালোনা, এই দেশে বেচে থাকা খুবই মুশকিল, বেশিরভাগ সাধারন মানূষ রোবটের মতো কাজ করে যাচ্ছে। এই অবস্থায় মানূষ যেনো সুইসাইড না করে এই জন্য ইসলামে সুইসাইড হারামের ব্যপারটা ভালো কাজ করে। অরথাত ওয়ারক ফোড়স যদি সমানে সুইসাইড করতে থাকে তাহলে ব্যবসা লাটে উঠবেন? মাসে খেয়ে না খেয়ে অমানবিক বেতনে চাকরী করবে কে তাহলে? আর তাই সুইসাইড করলে জাহান্নাম নিশ্চিত।
দিতিয়ত, এত ভয়াবহ রকমের জীবনব্যবস্থা যেনো চলতে থাকে এবং কোন ধরনের প্রতিবার বা বড় ধরনের আন্দোলন ঠেকনোর জন্য ইসলামের “অল্পতে তুস্ট থাকা”, “ভদ্রতা” সহ আরো বিভিন্ন গুনাবলিতে মানূষকে উদ্ভুদ্দ করতে বিরাট একটা ভুমিকা রাখে। এছাড়া “রিজিক আল্লাহর হাতে” এই ধরনের চিন্তাভাবনা মানূষ যখন না খেয়ে থাকে তখন রাগ বা জন বিস্ফোরন ঠেকাতে ভালো কাজ করে। ফলে মানূষ খাবারের অভাবে পরিবারসুদ্ধ অভুক্ত থাকে, কিন্ত বিস্ফোরিত হয়না, ফেঞ্চ দের মতো রাস্তায় নেমে বলেনা যে রূটি দে, নাহলে ছুড়ি মারবো। কারন ইসলামে এসব পুরোপুরি হারাম।
এছাড়া প্রতিনিয়ত এলিটদের সাপোরটের ব্যবস্থাটাকে সচল রাখার জন্য মাদ্রাসায় লক্ষ লক্ষ শিশু প্রতিদিন পেটানো হয় সকালে। এটা কিন্তু হুজুরের না বুঝেই করে শুধু ইন্দ্রিয়ের বশবরতি হয়ে কিন্তু এই কাজ অনেক বড় একটা ভুমিকা রাখে মেরুদণ্ডহীণ, বেকুব একটা জাতি তৈরিতে। এই বেকুব জাতি তাই ক্যান্সারের জন্য পাছায় তেল মরদন করতে বলে। যদিও সেই তেল মরদনে ক্যান্সারের কোন উপকার হবেনা। তাই তারা একই ভাবে প্রতিনিয়ত কোরানের আইন বাস্তবায়ন করতে বলে, সেখানে আসল ভেরিয়েবল টা বাদ দিয়ে, এবং এই ভেরিয়েবল নিয়ে ভাবার মত বোধশক্তিও সেই জেনারেশনের থাকেনা। এই ভেরিয়েবলটার নাম হলো হিউমান। যদি ইসলামের ইতিহাস সত্যিও ধরি তারপরও কোরানের আইন ব্যরথ হয়েছে মুহাম্মদ সঃ এর পর মাত্র কয়েকটি জেনারেশনেই। তারপর কোরানের আইননে নিজের ইচ্ছামত ব্যবহার করেছে সবাই, শত্রু দমনে কোরানের আইনের মত মারাত্মক অস্ত্র আর হয়?
এছাড়া মাদ্রাসা গরিব একটা শ্রেনিকে কাজে লাগিয়ে মধ্যবিত্ত শ্রেনি থেকে টাকা এক্সট্রাক্ট করে এই মেরুদণ্ডহীণ ব্রেন ওয়াশড জাতিকে ট্রেনিং দিতে বেশ কারযকর। প্রতিদিন শিশুকে পেটানো হলে সেই শিশু অনেকটা দাসের মতই হয়ে যায় এবং পিটুনিকে জীবনের সাভাবিক একটা ব্যপার মনে করে। এভাবে লক্ষ লক্ষ দাস তৈরির মাধ্যমে অনেক সহজে অমানবিক জীবনযাপনে অভ্যস্ত রেখেও তাদের কঠোর পরিশ্রমের উপর রাখা যায় এবং বিপুল পরিমান প্রফিট অরজন করা সম্ভব হয় কোম্পানিগুলোর মাধ্যমে।
তাই ভয়াবহ রোবতের মত পরিশ্রমের জীবন যাপন, আর নামেমাত্র খেয়ে, জমানো টাকাটাও আবার এলিটদের বানানো হাসপাতালে ভেঙ্গে শেষ বয়সে কালিম পরে হাসিমুখে যেন চলে যেতে পারেন, এটাই ইসলাম আর মাদ্রাসার মুল ব্যবহার। মাদ্রাগুলোতে কখনো আপনাকে কাজের কিছু করতে বলবেনা, তারা যেগুলো বলবে, বাস্তব জীবনে অন্যায় ঠেকাতে তা কোন কাজেই লাগবেনা, কিন্তু মাথানিচু করে দাস বানাতে এর জুরি নেই, এই জিনিসগুলো এত ট্রিকি যে এগুলো যদি আক্ষরিক ভাবে সামনে আসতো তাহলে তো আর এত ঘটা করে বুঝানো লাগতোনা, সবাই বুঝে ফেলতো।
যেসব হুজুরদের সুরের সাথে সাথে মাহফিল করতে দেখেন এর বিশাল রকমের ইনকাম করে মাহফিল দিয়ে, আর মাঝে সাঝে আরেক জাতের উম্মাদ দুরনিতিবাজ কিংবা সৈরাচারের হাতে যখন তারা নিরযাতিত হয়, এই নিরযাতন তাদের ফলোয়ার বেজের কাছে তাদের বিশ্যাসযোগ্যতা বারাতে সাহায্য করে। ফলে সমাজে বিশ্রিংখলা নিয়ন্ত্রন করা সহজ হয়ে পরে।
তাই ভয়াবহ এক জীবন যাপনে অভ্যস্ত বাংলাদেশি জাতি সব মেনে নিতেই প্রিফার করে থাকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে। আর অন্যায়ের প্রতিবাদ করো, এসব জেনারেল লাইন বলার প্রধান কারন এগুলো অত্যন্ত ভেগ, মানে অস্পস্ট। কোনটা অন্যায় কোনটা অন্যায় না এসব প্রশ্নের উত্তর তো থাকেনা। জীবন তো এত সহজ না। তাই মানূষ যেহেতু এই পারথক্যটা বুঝতে পারেনা তাই মসজিদ মাদ্রাসার হুজুরদের এসব ভেগ পরামরশ শুনে মনে করে এরা ভালো পথে আছে। কিন্তু যখন ভেগ না হয়ে স্পেসিফিক হতে যাবেন তখন আপনি প্রথমবারের মত এদেরকে চ্যালেঞ্জ করে ফেলবেন এবং বিপদে পরবেন, কারন এরা জেনে বুঝে কিংবা না বুঝে অত্যন্ত সুবিশাল এক অবিচারের সিস্টেমকে রিপ্রেজেন্ট করে। তাই এই বিশালত্তের কাছে আপনি ধংস হয়ে যাবেন। তাই কখণো স্পেসিফিক প্রশ্ন করতে যাবেননা যেমন হুজুর বা মাদ্রাসায় শিশুদের পিটানো হচ্ছে এদের বিরুদ্ধে কথা বলতে যাবেননা, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কোন বিচারতো পাবেনিনা বরং আপনার সোনামনিটার বড় ক্ষতি করে দেবে। আমি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে জানি যারা প্রতিবার করতে গেছে তাদের সন্তানেরা আরও বেশি ভয়াবহ নিরযাতনের শিকার হয়েছে মাদ্রাসায় হুজুরদের কাছে।
ইসলাম আর মাদ্রাসা মুলত অসংখ্য সিস্টেমের একটা সিস্টেম যেটা ভালো কথার ছলে আপনাকে, আপনার উপর হওয়া ভয়াবহ অন্যায়গুলোকে মেনে নিয়ে ক্রিতজ্ঞ হতে বাধ্য করবে। আর এছাড়া উপায়ও নেই। এই ভয়াবহ জীবনে মহাশক্তিমান কেউ আপনার জন্য জান্নাত নিয়ে অপেক্ষে করছে এই লোভ দেখিয়ে এই দুনিয়ার ভয়াবহ জীবনযাত্রা মেনে নিতে বাধ্য করবে। কথার খেলা, সুরে সুরে আরবি পরানো, মানূষের মিস্টি কথা, কিন্তু একটু নাড়া দিলেই বুঝবেন কয়লার কালো অংগাএর ভেতের যেমন লাল আগুন থাকে, এই মিস্টী কথার ভেতরে কিরকম জঘন্য নিরমমতা লুকিয়ে আছে। যে হুজুরের মিস্টী ভাষায় আপনি পগানি খেয়ে যাবেন যে সকালে উঠে মাদ্রাসায় বন্য জন্তুর মতো চড়াও হয়ে ছোট ছোট শিশুর উপর। কিন্তু এই সুন্দর সিস্টেমের কঠিন ব্রেন ওয়াশের কারনে আপনারও মেরুদন্ড আগেই ভেঙ্গে দেয়া হয়েছ তাই আপনিও কারযকরি প্রতিবাদ করতে অক্ষম। কারযকরি বলার কারন, প্রতিবাদ তো সবাই জানায়, সেটা কোন সমস্যা তৈরি করেনা এই সমাজে, কারযকরি প্রতিবাদ জানাতে মেরুদণ্ড লাগে এবং ক্লিয়ার হেড লাগে, যেটা নস্ট করার জন্য ইসলাম এবং মাদ্রাসা। ভারতে আছে হিন্দু ধরম এবং ওদের যত আজগুবি সিস্টেম, প্রতিটা দেশেই আছে এগুলো, অমানবিক বেতনে একটা বিশাল ওয়ারকফোড়স সাস্টেইন করাতে ধরমের কোন বিকল্প নেই এবং এদের মধ্যে অন্যতম কারযকরি একটি ধরম হচ্ছে ইসলাম। প্রচন্ড অশান্তি নিয়েও তাই বলবেন ইসলাম শান্তির ধরম। বৌদ্ধরাও যেমন বলে ঔম শান্তি। আসলে এই জীবনের ভয়াবহ অশান্তিগুলোর লাল অংগার কালো কয়লা দিয়ে ছাপা দেবার জন্যই এই শান্তির কাভার।