অনুভব অনলাইন নিউজ পোরটাল
গোপালগঞ্জে আ.লীগের হামলায় বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নেতাসহ নিহত ২, আহত ৫০
গোপালগঞ্জে কেন্দ্রীয় জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানীর গাড়িবহরে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হামলায় কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের ক্রীড়া সম্পাদক শওকত আলী দিদার নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৫০ জন, যার মধ্যে কয়েকজন সাংবাদিকও রয়েছেন। শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সদর উপজেলার ঘোনাপাড়া এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
হামলার বিবরণ
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বিকেল ৩টায় জেলা শহরের বেদগ্রামে পথসভা শেষে টুঙ্গিপাড়ায় বাবা-মায়ের কবর জিয়ারতের উদ্দেশে রওনা দেন এস এম জিলানী। তাদের গাড়িবহরটি সদর উপজেলার ঘোনাপাড়ায় পৌঁছালে আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনের ২০০ থেকে ৩০০ নেতাকর্মী দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর হয় এবং অন্তত ৫০ জন আহত হন।
হামলায় শওকত আলী দিদারকে বেধড়ক পেটানোর পর সড়কের পাশে ফেলে রাখা হয়। তাকে উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত শওকত আলী দিদার ঢাকায় একজন ক্রিকেট আম্পায়ার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করতেন।
আহতদের অবস্থা ও প্রতিক্রিয়া
হামলায় আহতদের মধ্যে স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, তার স্ত্রী রওশন আরা রত্না, এবং আরও অনেকে রয়েছেন। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এদিকে, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক বিবৃতিতে এ হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ও তদন্ত
গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনিচুর রহমান জানান, ঘোনাপাড়ায় স্বেচ্ছাসেবক দলের পথসভার সময় আওয়ামী লীগ পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘোষণা করে মহাসড়কের পাশে অবস্থান নেয়। এসময় বিএনপি কর্মীরা বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবি সংবলিত ব্যানার ছিঁড়ে ফেললে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। পরিস্থিতি বর্তমানে পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এখনও কোনো মামলা হয়নি বলে জানিয়েছেন ওসি।
এই ঘটনায় গোপালগঞ্জের রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠেছে এবং সংশ্লিষ্ট এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।