আন্দোলনকারীদের উপর গুলি চালানো শেখ হাসিনার আমলে এতটাই সাধারন ব্যপার হয়ে গিয়েছিল যে, শেখ হাসিনার ভারতের পালিয়ে যাবার পর গুলি না চালানোর কারনেই বাহবা পেয়েছে সেনাবাহিন। যদিও প্রথম দিকে কিছু সেনা গুলি চালিয়েছিলো। পরবরতিতে পরিস্থিতি খারাপ দেখে আর আগ বাড়াতে সাহস পায়নি।
কিন্ত প্রশ্ন হলো, ১৫ বছর সৈরাচারের পক্ষ নিয়ে এই সেনাবাহিনির অসংখ্য অফিসার বিরোধি দল দমন, নীপিড়ন ও টরচারে সমানভাবে অংশগ্রহন করে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিরোধি মত দমনে তারাই সরকারের সব চেয়ে শক্তিশালি অস্ত্র হিসেবে কাজ করেছে।
এখন এত অপরকরমের পর, ৫ আগস্ট তারা মানবতা বিরোধি অপরাধ ও গনহত্যার হোটা শেখ হাসিনাকে পালাতেও সাহায্য করে, যেটা একটা অসবাভাবিক ব্যপার। দেশের সেনাবাহিন অভ্যুত্থানের বিপরীতে কেন সৈরাচারকে অন্য এক দেশে প্রটোকল দিয়ে পাঠাবে? তারা আসলে কোন দেশের সেনাবাহিনি কিংবা কাদের করমচারি। জনগনের করমচারি হলে তো আর জনগনের উপর হত্যাকান্ড চালানো সৈরাচারকে পালাতে সাহায্য করবেনা।
এছাড়া অসংখ্য নেতা-নেত্রিকে তারা ক্যান্টনমেন্টে নিরাপত্তা দিয়ে রেখেছে, প্রশ্ন হলো এই নিরাপত্তা কি তারা ছাত্র-ছাত্রি কিংবা দেশের মানুষকে দিয়েছিলো যখন পুলিশ নিরবচারে গুলি চালিয়েছিলো আন্দোলনকারি কিংবা পথচারীদের ওপর?
তাহলে প্রশ্ন আসে সেনাবাহিনি কার হয়ে কাজ করে? তারা কি আসলেই দেশের জন্য কাজ করে নাকি অন্য কোন দেশের সারথ রক্ষা করে চলে? আন্দোলনকারিদের উপর গুলি না চালিয়ে কি বাংলাদেশ সেনাবাহিনি কোন মহৎ কাজ করেছে? নাকি বরং কোন ধরনের স্যাংশন খাওয়ার ভয়ে শুধুমাত্র নিজেদের পিঠ বাচানোর জন্য এই কাজ করেছে?
আসলে সেনাবাহিনিকে সংস্কার করা সবচেয়ে প্রথমে দরকার কারন দেশের সব চেয়ে শক্তিশালী সংস্থা হলো বাংলাদেশ সেনাবাহিনি এবং এই বাহিনিতে কোনভাবেই জনগনের উপর অন্যায় অত্যাচার করা অপরাধিরা থাকতে পারেনা, তাদের উপস্থিতি দেশের সারবভৌমত্তের জন্যই মারাত্মক এক হুমকি।
বাংলাদেশের সারবভৌমত্তে সরবোচ্চ ঝুকির উপর থাকবে যতক্ষন পরযন্ত সৈরাচারের দোসর এবং অন্যায়ের ভাগিদাররা সেনাবাহিনির উপরস্থ পদ গুলো দখল করে থাকবে।
সেনাবাহিনিতে ভারত ও সৈড়াচারের দুষন অনেকটা ক্যান্সারের টিউমারের মতো, কাটতে গেলেও ম্রিত্যুর ঝুকি রয়েছে কিন্তু চিকিতসা না করালে দেশের ম্রিত্যু নিশ্চিত।