পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অভ্যুত্থানের প্রকৃতির দিকে তাকালে বুঝতে পারবেন সৈরাচারী শক্তি কেনো অভ্যুত্থানকে মারাত্মক ভয় পায়। অভ্যুত্থান ঠেকানোর জন্য তারা এমন কিছু নেই যা করতে পিছপা হয়।
এর মুল কারন অভ্যুত্থানে সৈরাচারের সরকার, সাপোরটার সবার বিরাট ধরনের হতাহতের ঘটনা ঘটে থাকে। অভ্যুত্থানে সাধারনত সৈরাচারের বিরাট ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়, সে কারনেই সৈরাচারী শক্তি সব সময় অভ্যুত্থানকে যমের মত ভয় পায়।
কিন্তু বাংলাদেশে যে ধরনের সরকার পতন হলো ৫ আগস্ট, সৈরাচারের পুরো স্ট্রাকচার সম্পুরন অক্ষত রয়ে গেছে। উপরের লেভেলের হতাহতের সংখ্যা জিরোতে রাখতে পেরেছে পতিত সরকার। কেউই মারা যায়নি, বেশিরভাগই অত্যন্ত নিরাপদে এবং বলা চলে আরামে রয়েছে। এদের মধ্যে কেউ কেউ আবার গ্রেফতারের কয়দিন পর শোনা যায় ভারতে পালিয়ে গেছে। অরথাত আইন শ্রিংখলার দায়িত্তে যারা রয়েছে তারা আগের মতই সৈরাচারকেই সাপোরট দিয়ে যাচ্ছে।
ঠিক একারনেই বাংলাদেশের বরতমান সরকারের অত্যন্ত গুরুত্তপুরন পদগুলোতে আগের সৈরাচারই বিদ্যমান।
তাই বিগত ১৫ বছরের দিনগুলো বাকসাধিনতার অভাব সহ বিভিন্ন অন্যায় অবিচারগুলো আবারও ফিরে আসারা সম্ভাবনা অনেক প্রবল।
আর ৫ আগস্টের অভ্যুত্থানের হাস্যকর প্রকৃতি আগামির সৈরাচারকে উতসাহিত করবে।