Share
কোমরব্যথা একটি সাধারণ সমস্যা যা বিভিন্ন কারণেই হতে পারে। এটি মূলত মেরুদণ্ড, পেশি, স্নায়ু বা কোমরের হাড়ের ওপর চাপ বা আঘাতের কারণে হতে পারে। কোমরব্যথা সাময়িক বা দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে এবং এটি মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা ব্যাহত করতে পারে।
কোমরব্যথার কারণ:
- পেশি বা লিগামেন্টে আঘাত: ভারী বস্তু তোলার সময় বা হঠাৎ মুভমেন্টের কারণে কোমরের পেশি বা লিগামেন্টে আঘাত লাগতে পারে।
- বসার ভুল অভ্যাস: দীর্ঘ সময় ধরে ভুল ভঙ্গিতে বসা বা কম্পিউটার ব্যবহারের সময় সঠিক ভঙ্গি না মেনে কাজ করা কোমরে ব্যথার কারণ হতে পারে।
- অতিরিক্ত ওজন: শরীরের অতিরিক্ত ওজন মেরুদণ্ডে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে, যা কোমরব্যথার ঝুঁকি বাড়ায়।
- আর্থ্রাইটিস: বাতের সমস্যার কারণে কোমরের হাড়ে বা সন্ধিতে ব্যথা হতে পারে।
- ডিস্ক সমস্যা: মেরুদণ্ডের ডিস্কের সমস্যা, যেমন হাড়ের মধ্যে ডিস্কের সরে যাওয়া বা ক্ষয় হওয়া কোমরে ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে।
- অলস জীবনযাত্রা: পর্যাপ্ত শারীরিক কার্যকলাপের অভাবে কোমরের পেশি দুর্বল হয়ে যায়, যা ব্যথার কারণ হতে পারে।
কোমরব্যথা এড়ানোর উপায়:
- সঠিক ভঙ্গি বজায় রাখা: সোজা হয়ে বসা এবং হাঁটা গুরুত্বপূর্ণ। কাজ করার সময় সঠিক চেয়ার এবং টেবিল ব্যবহার করুন।
- ভার উত্তোলনের সঠিক কৌশল: ভারী বস্তু তোলার সময় কোমর নয়, বরং হাঁটু থেকে ঝুঁকে বস্তু তুলুন।
- নিয়মিত ব্যায়াম: পিঠ ও কোমরের পেশি শক্তিশালী করার জন্য নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। যেমন, কোমর মোচড়ানো বা কোমর স্ট্রেচিং-এর মতো ব্যায়াম।
- ওজন নিয়ন্ত্রণ: অতিরিক্ত ওজন কমানোর মাধ্যমে কোমরের ওপর চাপ কমানো যায়।
- আরামদায়ক জুতা পরা: এমন জুতা ব্যবহার করুন যা কোমরে সঠিক সাপোর্ট দেয়।
- সঠিকভাবে ঘুমানো: ঘুমানোর সময় পিঠ সাপোর্ট দেয় এমন মাদুর ব্যবহার করুন এবং পাশ ফিরে ঘুমালে পায়ের মাঝে বালিশ রাখতে পারেন।
পরামর্শ:
কোমরব্যথা যদি দীর্ঘস্থায়ী হয় বা ব্যথার তীব্রতা বেশি হয়, তবে দ্রুত একজন ডাক্তার বা ফিজিওথেরাপিস্টের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
19