ফিলিস্তিন নিয়ে একটা লেখা লিখেছি। ওটা পড়লেই মূলত ব্যপার টা পরিস্কার হয়ে যাবে। ইসরায়েলের তো তেল নেই। এই দেশটির অর্থনীতি অস্ত্র বিক্রয়ের উপর নির্ভরশীল। ইসরায়েলি বিভিন্ন কোম্পানি বিশ্বের অসংখ্য দেশে অস্ত্র সরবরাহ করে থাকে। কিন্তু দেশটির জায়গা ও রিসোরস সল্পতার কারনে এসব অস্ত্র গবেষনায় তারা ফিলিস্তিনিদের গিনিপিগ হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। ইসরায়েলের এসব ঘৃণিত কাজ গুলোর একটী উদাহরন হচ্ছে মায়ানমারে অস্ত্র বিক্রয়। তারা বিপুল পরিমান অস্ত্র বিক্রয় করে মায়ানমারের সেনাবাহিনির কাছে যা দিয়ে এরা নিজ দেশের নাগরিকদের উপর গনহত্যা চালাচ্ছে।
মাত্র কয়েক বছর আগেও অসংখ্য ফিলিস্তিনি গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। কেন ? কারন ফিলিস্তিনিরা তাদের ডাকাতি হয়ে যাওয়া জমি ফেরৎ চায়। হামাসের সাম্প্রতিক হামলা গুলোর আগে ফিলিস্তিনিদের প্রতিবাদ সমাবেশে ইসরায়েলি পুলিশ মারাত্মক রকমের হামলা চালায়। তাদের কে আবারও বসত বাড়ি থেকে বিতাড়িত করার বিষয়ে ইসরায়েলি হাইকোর্ট সম্মতি দিয়েছে।
ইসরায়েল প্রতি নিয়ত ফিলিস্তিনিদের ভীটেমাটি ছাড়া করে আসছে, এবং এর প্রতিবাদ করলেই তাদের উপর নেমে আসতো খড়গহস্ত। ফিলিস্তিনিরা এখন প্রানপন রকেট হামলা চালানোর কারন মূলত এটাই। তারা বুঝতে পেরেছে এটা কোন জীবন নয়, ইসরায়েল কখনো থামবেনা। গুগলে ফিলিস্তিনিদের অস্তিত্ব পর্যন্ত নেই। আসলে এটা অনেকটা সেই টিভি সিরিয়াল গুলোর মত যেখা খুনি থাকে এমন এক ব্যক্তি যার উপর আগে অন্যায় করা হয়েছে, এবং অন্যায়ের কারনে সে নিজেই অন্যায়কারিতে পরিনত হয়েছে।
ইহুদীরা ফিলিস্তিনিদের উপর অবিকল সেই কাজই করছে যা হিটলার করেছিল তাদের উপর। জায়গা দখন, কন্সেন্ট্রেশন সেন্টারে রাখা, পরীক্ষার গিনিপিগ হিসেবে ব্যবহার এগুলো কি ? আসলে বর্তমান আন্তর্জাতিক সপ্রদায় বুঝতে অক্ষম যে আমরা আসলে মানসিক ভাবে অসুস্থ পিটিএসডি তে আক্রান্ত এক জাতির কর্মকান্ড দেখতে পাচ্ছি। ইসরায়েলিদের পুরো জাতিগত ভাবে মানসিক চিকিৎসা প্রয়োজন।