তরুন স্যামন মাছগুলো একধরনের আজব আচরন করে। এরা প্রায় ৩০ সেণ্টিমিটার পর্যন্ত লাফ দিয়ে ওঠে এবং এই কাজটি করে তারা দৈনিক গড়ে প্রায় ৭-৯ বার। এমন কি সামনে কোন প্রতিবন্ধকতা না থাকলেও তারা এরকমটি করে থাকে। দেখে মনে হতে পারে তারা যেন অলিম্পিক লাফ প্রতিযোগিতায় নাম লেখিয়েছে।
তবে আসল কারন হলো, তাদের শরীরে সামুদ্রিক পরজীবী উকুনের সংক্রম হয়েছে এবং এর উৎপাতে তার উকুন ঝেড়ে ফেলার জন্য এভাবে লাফ দিয়ে ওঠে।
বিশেষজ্ঞরা আগে থেকেই এই ধারনাই করেছিলেন। সামন লাফ দিয়ে ওঠে এই উকুনগুলো ঝেড়ে ফেলার জন্য যারা এর শরীরের পিচ্ছিল পদার্থ, রক্ত ও চামড়া খেয়ে বাচে। উকুনের সংক্রমণে পড়া মাছগুলো প্রায়শই অন্যান্য মাছের তুলনা প্রায় ১৪গুন বেশিবার এভাবে পানি থেকে লাফ দিয়ে ওঠে। যদিও বিজ্ঞানীরা এখনও নিশ্চিত হতে পারেননি যে এতে করে তারা এই রক্তচোষাগুলোকে ঝেড়ে ফেলতে সক্ষম হয় কিনা।
এভাবে পানির উপরে লাফ দিয়ে ওঠা এই মাছগুলোর জন্য খুব একটা নিরাপদ নয়। যেহেতু প্রায় ৫৬টির মত লাফ দিতে হয় শুধুমাত্র একটি উকুন ঝাড়ার জন্য !
আর একই সাথে লাফানোর ফলে বিভিন্ন শিকারি সামুদ্রিক পাখির নজরে পড়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায় বহুগুন। একই সাথে অপচয় হয় মূল্যবান শারীরিক শক্তিরও যা স্যামনের জন্য দুর্মূল্য। হয়তো তাদের কাছে বিপদের থেকেও বড় ব্যাপার হচ্ছে এই উকুনের উৎপাত থেকে আর চুলকোনি থেকে সাময়িক মুক্তি লাভ।