ড্রাগন বলার কারনে হয়তোবা অনেকেই ভুল করতে পারে। আপনার প্রশ্ন করা উচিত ছিল কমোডো ড্রাগন হালাল কিনা। কুরবানি সম্ভবত হবেনা কারন কুরবানিতে প্রানিটার আকৃতির একটা নির্দিষ্ট পরিমাপ রয়েছে। আর কুরবানির ক্ষেত্রে আপনাকে একটা অংশ দান করতে হবে। ড্রাগনের ক্ষেত্রে এর গায়ে কতটুকুই বা মাংস পাবেন, আর কতটুকুই বা দান করবেন।
এছাড়া এই প্রানিটার মাংস খেতে অনেকেই রুচি পাবেননা তাই কাউকে দিতেও পারবেননা। আর কেউ যদি না নেয় তাহলে তো কোরবানির মূল নিয়ম ভংগ হয়ে গেল যেটা হল মানূষকে দেয়। আল্লাহর উদ্দেশ্যে কুরবানি করবনে এবং এর বড় একটা গরীবকে দেবেন। এখন যত গরীবই হোক, গিরগিটীর মাংশ কেউ নেবে ?
একটা কথা হল ইসলামের দৃষ্টিতে কমোডো ড্রাগন বা কাছাকাছি প্রজাতির সকল ধরনের গিরিগিটী হালাল যদিও তা রসুলুল্লাহ সঃ পছন্দ করেননি। একটি ঘটনা রয়েছে যেখানে তাকে গিরগিটির মাংস দেয়া হয়েছিল, তিনি তা সরিয়ে রাখেন। পরে তাকে এ ব্যপারে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন যে এটা হালাল তবে তিনি এটা খেতে রুচি বোধ করছেননা।
Reference :
‘Abdullah b. ‘Abbas reported: I and Khalid b. Walid went to the apartment of Maimuna along with Allah’s Messenger (may peace be upon him), and there was presented to him a roasted lizard. Allah’s Messenger (may peace be upon him) stretched his hand towards It, whereupon some of the women who had been in the house of Maimuna said: Inform Allah’s Messenger (may peace be upon him) what he intends to eat. Allah’s Messenger (may peace be upon him) lifted his hand. I said: Messenger of Allah, Is it forbidden? He said: No. It is not found in the land of my people, and I feel that I have no liking for it. Khalid said: I then chewed and ate it, while, Allah’s Messenger (may peace be upon him) was looking (at me).
কমোডো ড্রাগন একধরনের গিরিগিটি। তাই এটা হালাল, তবে কুরবানি দেয়া যাবে কিনা এব্যপারে কিছু খুজে পেলাম না তাই বলতে পারছিনাম দুঃখিত।
আমাদের দেশের মানূষের মধ্যে একটা সভাব্ আছে, যেটা ভালো লাগেনা সেটাকে কোন না কোন যুক্তি দিয়ে হারাম দেখাবে। এখন জীব বিজ্ঞান দিয়ে আমাদের দেখতে হবে দুটো কি আসলে একই পরিবারের নাকি। যুক্তি দিয়ে হারাম হালাল বানানো যায়না, যুক্তি দিয়ে মদ খাওয়াও উপকারী দেখানো যায়। কিন্তু মদ কি হালাল ? আবার যুক্তি দিয়ে ভাত খাওয়াও অপকারি হিসেবে দেখানো যায়, কিন্ত হারাম কি বানানো যাবে ?
আমি রেফারেন্স দিয়েই বলেছি যে ওটা হালাল। একজন এখানে মন্তব্য করেছেন – “তবে, কমডো ড্রাগন একটি ভিন্ন প্রাণী।” এটা পুরোটাই কিন্তু তার নিজের বানানো একটা কথা। দয়া করে ইন্টারনেটে একটু সার্চ দিয়ে দেখবেন। এটা একই পরিবারের সদস্য। আরবের গুইসাপ আর বাংলাদেশের গুইসাপ কি এক হবে ? অস্ট্রেলিয়ান গরু আকারে অনেক বড় হলেই সেটা বাংলাদেশের গরু থেকে ভিন্ন এক প্রানী হয়ে যায়না। গরু গরুই থাকে।
হারাম হালাল জানতে হলে রেফারেন্স দেখবেন, হাদিস আর কুরআন দেখবেন। মনগড়া কথা বলা থেকে বিরত থাকুন, আপনার পরিচিত কোন আলেম যদি বলে গিরিগিটি হারাম আর হাদিসে যদি দেখেন হালাল তাহলে কোনটা ফলো করবেন ? আলেম না হাদিস ? আল্লাহ আমাদের চোখ, কান, ঘিলু এগুলো অকারনে দেয়নি।
নিজের মনগড়াভাবে এটা হারাম ওটা হালাল এটা একটা মস্ত বড় ধ্রিস্টতা। দয়া করে এটা মনে রাখবেন।। ধন্যবাদ, আশা করি সবাই ভালো থাকবেন।