আমি আসলে বই প্রেমি বলা যায়না। তবে ছোটবেলায় কিছু সিরিজের জন্য উম্মাদ ছিলাম বলা যায়। যেমন কিশোর হরর, তিন গোয়েন্দা, অনুবাদ এগুলো স্কুলের টিফিনের টাকা না খেয়ে জমিয়ে কিনতাম। এক পর্যায়ে লাইব্রেরিতে যেরকম বই থাকে আমার অবস্থা হয়েছিল সেরকম।
অনেকেই বই পড়ার পক্ষে যুক্তি দেয় আবার বলে ই-বুক পড়ার থেকে বই পড়ায় নাকি স্যাটিসফ্যাকশন বেশি। এখানে মজার কথা হল এত বই পড়েও যদি এই সামান্য বিষয়টুকু না বোঝেন যে মানূষ অভ্যাসের দাস আর শুধু মাত্র এই একটি কারনে আপনি এই কথা বলছেন। ই-বুক পড়ার অভ্যাস করুন দেখবেন বই পড়ার থেকে ই-বুক পড়া কথা ঝামেলা মুক্ত। বই নস্ট হয়ে যায়। ই-বুকের ব্যাক আপ রাখলে কোনদিন তা মলিন হয়না।
এখন আসি বই না পড়ার যুক্তিতে-
আসলে জীবনের প্রয়োজনে যেসব বই পড়তে হয় সেগুলো না পড়ার কোন যুক্তি নেই। কারন পাশ করতে হলে কিংবা কোন সারটিফিকেট পেতে হলে এসব বই পড়বেন। যদি মনে হয় ফেলুদা (যারা ফেল করে) হলে কোন সমস্যা নেই তাহলে নাও পড়তে পারেন।
আর এখন গল্পের বইয়ের ক্ষেত্রে না পড়ার যুক্তি হল – গল্পের বই পড়লে আপনি প্রাথমিক ভাবে কোন সমস্যা দেখবেননা কিন্তু অসংখ্য বই পড়ার পর আপনার অবচেতন মনে অন্যের দৃষ্টি ভঙ্গি গেথে যাবে। যেহেতু একজন মানূষ যখন বই লেখে তখন অন্যদের সম্পর্কে তার মনগড়া দৃষ্টি ভঙ্গি দিয়ে বানিয়ে বানিয়ে লেখে তাই জীবন আর সমাজ সম্পর্কে আপনি আরেকজনের আসাম্মশন গুলো মনের অজান্তে থেরাপির মত করে নিচ্ছেন। ফলে পুরো দুনিয়া সম্পর্কে যত আজগুবি ধারণা তৈরি হবে যেগুলো থেকে বেড়িয়ে আসার জন্য হয়তো একদিন আপনার সাইকোথেরাপি নিতে হবে।
যেমন অসংখ্য আজগুবি ভালোবাসার গল্পের বই পড়ার পর আপনার অবচেতন মনে ভালবাসা নিয়ে অযৌক্তিক এক্সপেকটেশন তৈরি হবে, সেগুলো পূরন না হলে মারাত্মক হতাশা হতে পারে ইত্যাদি আরকি।
আসলে এগুলো ভেবে দেখার জিনিস। নিজে থেকে ভাবলে আর সাইকোলোজিকাল বিষয় গুলো নিয়ে ঘাটাঘাটি করলেই দুইয়ে দুইয়ে চার মিলাতে পারবেন।