এর উত্তরের প্রথমে আমার ধারণা ছিল ইসরায়েল শান্তি চায়। কিন্তু একেবারে সম্প্রতি তারা আবার ফিলিস্তিনিদের জমি বেদখল শুরু করার পর বুঝলাম এর পেছনে বড় কোন রাজনীতি রয়েছে।
ইসরায়েলের ফিলিস্তিন নীতি অনেকটা দুটি প্রয়োজনের ভারসাম্যের উপর নির্ভর করছে। আর এই ভারসাম্যের উপর নির্ভর করছে ফিলিস্তিনিদের ভাগ্যও।
প্রথম নীতি হলো জায়োনিজম, যা মহা ইসরায়েলের জন্য কাজ করে, ক্রমাগত ল্যান্ড এক্সপ্যানসনের জন্য।
দ্বিতীয় নীতি হল অস্ত্র গবেষনার গিনিপিগ। অস্ত্র গবেষনা পরীক্ষার জন্য যে বিপুল পরিমান রিসোরস আর জমি দরকার হয় তা ইসরায়েলের নেই। তাই যখনই নতুন কোন অস্ত্র পরীক্ষার দরকার হয় তখন তাদের পক্ষ হয়ে হামাস রকেট হামলা করে ইসরায়েলকে রিট্যালিয়েট করার সূজোগ বা অজুহাত এনে দেয়। ফলে তারা তাদের নতুন এইসব অস্ত্র ফিলিস্তিনি স্থাপনায় ব্যবহার করে।
এক্ষেত্রে বিশ্ব মিডিয়া অনেকটা তাদের এই অস্ত্রের বিজ্ঞাপনের কাজ করে। এই ধরুন সাম্প্রতিক যেসব হামলা করা হয়েছে, কি নিপুন ভাবে একটা বহুতল ভবন মিশিয়ে দেয়া হল পাশের ভবনে কোন স্পর্শ ছাড়াই। বিশ্ব মিডিয়া যখন এটা সরেজমিনে এইচ ডি পিক্সেলে দেখায়, কি দারুন বিজ্ঞাপন হয়ে যায়না তাদের ?
ইসরায়েল বিভিন্ন দেশের কাছে তাদের এসব অস্ত্র বিক্রি করেই টিকে আছে। সমস্যা হলো এক্ষেত্রে কোন এথিক্স নেই তাদের। মায়ানমারের সৈরাচারের কাছেও তারা বিপুল পরিমান অস্ত্র বিক্রি করছে যা তারা এখন সাধারন নাগরিকের উপর ব্যবহার করে নারী পুরষ শিশু হত্যা করছে।
ফিলিস্তিনি লাখ লাখ মানূষ না থাকলে এত বিশাল সংখ্যক গিনিপিদ আসবে কোথা থেকে বলুন ? আর হামাস না থাকলে তাদের হামলার অজুহাত কে তৈরি করবে ?
জো রোগানের পডকাস্ট যারা শূনে থাকেন, রোগান ইসরায়েল কি চায় সেটি নিয়ে একটি পর্ব করেছিল যেখানে আবি মারটিন খোদ ইসরায়েলে গিয়ে সে দেশের নাগরিকদের কিছু প্রশ্ন করে ফলে ইসরায়েল নিয়ে অনেকগুলো ডিস্টারবিং ব্যপার উঠে আসে। দেখলেই বুঝতে পারবেন-
এখানে একটি বাচ্চা ইসরায়েলি সেখানে একটি ইসরায়েলি সংস্থার সাথে জড়িত যেখানে তাকে জাতি বিদ্বেষ শেখানো হচ্ছে। অনেকটা আমাদের দেশের মসজিদ-মাদ্রাসাগুলোর মতই।
ইসরায়েল এর বিমান হামলায় মৃত ৮ শিশু, বিদ্ধস্ত আল জাজিরার অফিস – অনুভব ব্লগ
গাযায় ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ধ্বংস হলো আল-জাজিরার অফিস – BBC News বাংলা