
আমার এক মুসলিম বন্ধু বললো হুজুর বা আলেমদের চেয়ে চার্চের ফাদাররা সাধারন মানুষদের খুব ভালো ভাবে তাদের মিষ্ট ভাষার মাধ্যমে বুঝাইতে সক্ষম কিন্তু ইমাম বা আলেমগণ এক্ষেত্রে উগ্র স্বভাব প্রকাশ করে।
তার এমন মন্তব্যের প্রতিত্তোর হিসেবে আমি তাকে কী বলতে পারি?
উত্তরে বলতে পারেন, এদের সবার কাজ একই, চাকরি করা। তারা মাস শেষে বেতন নেয়। কেউ মিস্টি স্বরে কাজ করে, কেউ চরা স্বরে। একটা ক্যাটগরিতে সবাই খারাপ ব্যবহার করে এটা ভাবাটাও যেমন অযৌক্তিক, একটা ক্যাটগরিতে সবাই ভালো আশা করাও অযৌক্তিক।
খ্রীস্টানদের সমাজে প্রায়শই একটা কৌতুক চলে, তা হলো, চার্চের ফাদারদের চরিত্র অনেক ভালো কারন তারা নারী সংস্পর্শ থেকে দূরে থাকেন। তাদের নারী ভালো লাগেনা, তাদের ভালো লাগে অল্প বয়সী ছেলেদের। কেন ভালো লাগে সেটা তাকে এক্টূ খোজ নিয়ে দেখতে বলবেন। চার্চের ফাদারদের নিয়ে অনেক অপরকরমের ঘটনা রয়েছে। সেগূলোর হিসাব নিলে তাদের আমলনামাতেই বেশি অপকরম দেখতে পাবেন সম্ভবত।
কে ভালো কে মন্দ পরিসংখ্যান করেও বুঝতে পারবেননা। কাউকে পুরো পুরি ধোয়া তুলসী না ভাবাই ভালো। সব সমাজেই ভালো-মন্দ থাকে। এটার সাথে ধর্মের সম্পর্ক নেই। শুধুমাত্র যারা জাতি বিদ্দেষি, তারাই তাদের জীবনের বিভিন্ন সমস্যার জন্য অন্য কোন জাতিকে দায়ী করে থাকে।
You must log in to post a comment.