লো প্রেশার হলে কী করবেন?

লো প্রেশার বা হাইপোটেনশন হলে শরীরে রক্ত চাপ কমে যায়, যার ফলে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন: মাথা ঘোরা, দুর্বলতা, অন্ধকার দেখা, বমি ভাব ইত্যাদি।

লো প্রেশার হলে কী করবেন:

  • শুয়ে পড়ুন: মাথা কিছুটা উঁচু রেখে শুয়ে পড়ুন।
  • পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন: শরীরে পানির ঘাটতি হলে লো প্রেশার হতে পারে। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন।
  • লবণ খান: লবণ শরীরে পানি ধরে রাখতে সাহায্য করে। তাই একটু লবণ খেতে পারেন।
  • মিষ্টি জিনিস খান: এক টুকরো চিনি বা মিষ্টি খেতে পারেন। এতে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে সাহায্য করে।
  • ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় পান করুন: কফি বা চা পান করতে পারেন। ক্যাফেইন রক্তচাপ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
  • ধূমপান ও মদ্যপান এড়িয়ে চলুন: ধূমপান ও মদ্যপান রক্তচাপ কমিয়ে দেয়। তাই এগুলো এড়িয়ে চলুন।
  • শারীরিক পরিশ্রম কমিয়ে দিন: যদি শারীরিক পরিশ্রমের কারণে লো প্রেশার হয়, তাহলে কিছুক্ষণের জন্য বিশ্রাম নিন।
  • ডাক্তারের পরামর্শ নিন: যদি লো প্রেশারের সমস্যা নিয়মিত হয়, তাহলে অবশ্যই একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

লো প্রেশারের কারণ:

  • অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ
  • ডিহাইড্রেশন
  • হৃদরোগ
  • কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
  • দীর্ঘদিনের অসুস্থতা
  • গর্ভাবস্থা
  • ভিটামিনের অভাব

লো প্রেশারের লক্ষণ:

  • মাথা ঘোরা
  • দুর্বলতা
  • অন্ধকার দেখা
  • বমি ভাব
  • বমি
  • হৃদস্পন্দন বৃদ্ধি
  • শ্বাসকষ্ট
  • ঘামা
  • চিন্তা বা উদ্বেগ

কখন ডাক্তারের কাছে যাবেন:

  • যদি লো প্রেশারের সাথে অন্য কোনো লক্ষণ দেখা দেয়, যেমন বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, চেতনা হারানো ইত্যাদি।
  • যদি লো প্রেশারের সমস্যা নিয়মিত হয়।
  • যদি কোনো ওষুধ খাওয়ার পর লো প্রেশার হয়।

বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই তথ্য শুধুমাত্র সাধারণ ধারণার জন্য। কোনো রোগীর জন্য চিকিৎসা নির্ধারণ করার ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ অত্যন্ত জরুরি।

About Mahmud

Check Also

অনিয়মিত পিরিয়ড কেন হয় ? অনিয়মিত মাসিক এর কারণ, লক্ষণ এবং চিকিৎসা

অনিয়মিত ঋতুস্রাব একটি সাধারণ সমস্যা যা বিভিন্ন কারণেই হতে পারে। এর ফলে মাসিক চক্রের সময় …

Leave a Reply