হেডলাইন

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র কবে নাগাদ চালু হবে? পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও কেন ভারতের পরামর্শক ও যন্ত্রপাতি নেওয়া হচ্ছে?

বাংলাদেশ যে একটা মারাত্মক লেভেলের দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ তাতে কোন সন্দেহ নেই। এর আগে কেন্দ্রের ৫ হাজার টাকার বালিশের কথা আমরা সবাই শুনেছি।

তবে পারমানবিক চুল্লি এমন জিনিস এটা যদি দুর্নীতি গ্রস্ত শূয়োরের ব্যবস্থাপনায় চলে তাহলে সবার কপালে মারাত্মক দুঃখ আছে। আর মারাত্মক দুঃখ কথাটা বলে এক্টূও বাড়িয়ে বলিনি বরং এটা কত যে মারাত্মক তা বাংলা ভাষায় লিখে বোঝানো সম্ভব না। রেডিয়েশন যে কি বিভীষিকা আর দুর্নীতি হলে কি হতে পারে তা আমার কল্পনা করতে ভয় হয়।

শুধু মাত্র একটা টিভি শো’এর একটু অংশ এখানে বলি। একজন পলিটিশিয়ান আর একজন রেডিয়েশন এক্সপার্ট চেরনোবিলের রেডিয়েশন ক্লাউডের পাশ দিয়ে উড়ে যাচ্ছিল। তখন পলিটিশিয়ান বলে যে পাইলট যদি ক্লাউডের কাছ দিয়ে উড়ে না যায় তাহলে সে তার মাথায় গুলি করবে।

আর রেডিয়েশন এক্সপারট কি বলেছিলেন জানেন ? সে বলেছিলো, যদি তারা ঐ হেলিকপ্টার নিয়ে ওই ক্লাউডের ধারে যায় তবে সেইদিন ওই পাইলট মাথায় সেই গুলীটি খাবার জন্য পা ধরবে।

আপনি যদি ইংরেজি না বোঝেন তাহলে পরের ভিডিও যে লিঙ্কটি দিচ্ছি সেটার তাৎপর্য বুঝতে পারবেননা। এটায় জাপানের একটি দুর্ঘটনায় একজন ব্যক্তি ফ্যাটাল রেডিয়েশন ডোজের শিকার হয়। পৃথিবীতে সব চেয়ে বেশি রেডিয়শনের শিকার ছিলেন সেই ব্যক্তি। এরকম ঘটনা বিরল হবার কারনে তাকে জাপানের ডাক্তারেরা তখনকার স্টেট অফ আরট টেকনোলোজি এবং চিকিৎসা ব্যবহার করে তাকে যতদিন সম্ভব বাচিয়ে রাখে। মৃত্যুর আগে সে পৃথিবীর প্রথম ডিএনএ মুক্ত মানূষ হন। অর্থাৎ রেডিয়েশন তার শরিরের সমস্ত ডিএনএ ধংস হয়ে যায়। রেডিয়েশন পয়জনিং এর সাথে আসলে পৃথিবীর কোন কিছুর তুলনা হয়না। একমাত্র জাহান্নামের শাস্তির সাথেই বোধহয় এর তুলনা হয়।