আসলে হিন্দু ধরমে প্রচলিত সতিদাহ আইন করে দর করতে হয়েছিলো। এ ছাড়া এই প্যাগানিজম ধরমে মানুষ বলি দেবার রীতিও ছিলো। কেন বেশি দেখা যায় এর কোন উত্তর নেই।
তবে এখানে প্রতি ক্ষেত্রেই সমস্যা থাকে দুটো। একটা হলো মূল ধরমে সমস্যা, আরেকটা হলো ধরমের নামে মানুষের বানানো সমস্যা। এই সমস্যা সব ধরমেই আছে। ধরমের নামে নারী পোড়ানোর ঘটনা আছে খ্রিস্ট ধরমে, হিন্দু ধরমের জনগোশঠিতে। আরবের ইসলাম ধরমে আছে পাথর মেরে বিভতস ভাবে নারী পুরুষ হত্যা করা জেনা করেছে এই আখ্যা দিয়ে।
হিন্দুদের ক্ষেত্রে একটা মজার ব্যপার জানতে পারলাম আজকে। হিন্দু ধর্মে গো হত্যা মহাপাপ। এখন সমস্যা হলো বর্তমান সমাজে শিক্ষার প্রসারে মানূষ সহজেই বিভিন্ন ধর্ম সম্পর্কে খোজ নিতে পারে। কথা হলো, ইসলাম ধর্মে তো অন্য ধর্মের মানূষদের জিজিয়া কর দিতে হয়, এখন হিন্দু আর খ্রিস্টানদের উপর শুধু তাদের বিশ্বাসের ভিন্নতার জন্য কর চাপিয়ে দিলে কেমন হয় ?
ইসরায়েল, সৌদি আরব, ইরান, ভারত এরকম কিছু দেশে এরকমের জাতি বিদ্দেষি আইন রয়েছে যেগূলো ধর্ম বা সংস্কৃতি থেকে এসেছে। খেয়াল রাখবেন, ধর্মীয় আইন বলতে আমরা যা বুঝি তা কিন্তু সব সময় ধর্ম থেকে আসেনা। অনেক সময় ধর্মের নামে প্রথা থেকে আসে। আর, ধর্মীয় প্রথা আইন করে দেয়া চরম অন্যায় এবং জাতি বিদ্দেষের পরিচয়, যতক্ষন পর্যন্ত সেই দেশে একজন বিধর্মীও থাকে।
যেটা করেছিলো মুসলিমরা, অন্য ধর্মের মানূষের উপর কর চাপিয়ে, যেটা করেছে ভারত গরু হত্যা নিষিদ্ধ করে।
এখন দেখি গরু হত্যার কথাটা সম্পর্কে আজকে মজার যে তথ্য পেলাম। যদিও ধর্মে যাই থাকুক সেটা আইন করা অন্যায়, তবে, গরু হত্যার কথাটা নাকি আছে রিক বেদে। আর এই রিক বেদের আছে গো-হত্যা মহাপাপ। তবে রিক বেদ তো আর বাংলা ভাষায় লেখা না, সেখানে আছে গো শব্দ টা। আর এই গো’র দুটো অর্থ আছে সংস্কৃতে। গরু এবং পানি।
এখন রিক বেদের ইন্দ্র তার জীবনে যুদ্ধ করেছে বাধ ভাঙার জন্য, যে বাধ গুলো নদী মেরে ফেলতো। গরু বাচানোর জন্য কোন যুদ্ধ সে করেনি, আবার হিন্দু ধর্মে প্রানি বলি দেবার কথা আছে, ভগবানের জন্য। সেই হিসেবে এখানে গো দিয়ে পানি বা নদী বুঝানোর সম্ভাবনাই বেশি। যেহেতু, সে নদী বাচানোর সংগ্রাম করেছে। কি আজব ব্যপার তাইনা ? কিছু অশিক্ষিত চরম পন্থিদের হাতে রাখার জন্য কিছ হারামি পলিটিশিয়ান গো এর পানি বাদ দিয়ে এমন জিনিস বানিয়েছে যেটা দিয়ে দন্দ তৈরি করা যায় অন্য ধর্মের সাথে।
তবে অন্য ধর্ম, অন্য জাতি, অন্য দের অভ্যাস এগুলো ব্যবহার করে কিছু মানূষকে একত্র করা কিন্তু একটা ক্লাসিক পলিটিকাল হারামিপনা এটা হিটলার করেছে। যত ধরনের জঘন্য নেতা আছে সবাই এই কাজ করেছে ক্ষমতা পাবার জন্য। কারন কিছু হারডলাইনার দের একটা নির্দিষ্ট আদর্শের ছাতায় আনতে না পারলে ক্ষমতা আসবে কোথা থেকে ?
এখন কথা হলো, তাদের গো যদি গরুও হতো, তাহলেই আইন করে অন্য ধর্মের মানূষের খাবার নিয়ন্ত্রন করাকে অন্যায়, জাতি বিদ্দেষই বলা হতো। যেটা মুসলিম দেশেও আছে, আলকোহল নিষিদ্ধ। সম্প্রতি বাংলাদেশের র্যাব নাকি অনেক বিদেশি মদ জব্দ করে নস্ট করেছে। খুনে র্যাব তো বিশ্বের দরবারে নাম করেছে মানবাধিকার লঙ্ঘনের নামে, এরা তো আল কায়েদা, আইসিসি এর মত ব্যান খাওয়া একটা অরগানিজেশন। যুক্তরাষ্ট্র মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে এদের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। কি আজব কথা, সারা বিশ্বে মদ একটা খাবার পানিয় আর এরা কোটি কোটী টাকার খাবার পানীয় নস্ট করে ফূটানি দেখায়!
আসল কথা হলো, যুগে যুগে যাদের ক্ষমতা আছে, বা যারা ক্ষমতা চায় তারা ধর্ম ব্যবহার করে। ইসলাম ধর্ম বা হিন্দু ধর্ম। সব ধর্মকেই আকামের জন্য ব্যবহার করে হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও হবে।
You must log in to post a comment.