ভারত বিদ্দেষী জাতি
আসলে এই ব্যপারে কথা বলতে গিয়ে আমি ভারতের গোয়েন্দা এবং ইন্টেলিজেন্সকে ছোট একটা সাজেশন দেবো।
ভারতের ৫০ বছরের ষড়যন্ত্রে লাভ হয়েছে সাময়িক, ক্ষতি হয়েছে বেশি। ভারতের পলিসির কারনে, ভারতের গলার নিচে একটা ভারত বিদ্দেষি জাতি তৈরি হয়েছে।
ভেবে দেখুন আজ থেকে ৫০ বছর আগে কি এত ভারত বিদ্দেষ ছিলো ?
এখন কেন?
এখন দেশের মানূষ প্রতিটা অঘটনে ভারতকে দোষ দেয়।
সময় আছে। পলিসি পাল্টানো প্রয়োজন। সৈরাচার, দুর্বৃত্ত এদের সাপোরট দিয়ে সাময়িক কিছু চুক্তি করিয়ে নেয়া গেলেও, কিন্তু পরিনামে কোটি কোটি ভারত বিদ্দেষী শত্রু তৈরী হচ্ছে। আর ইন্টেলিজেন্স দিয়ে বাংলাদেশ বিরোধি যে ক্যাম্পেইন গুলো চালানো হচ্ছে, এগুলো কিন্তু বাংলাদেশের মানূষ দেখতে পায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
ভারতের এই পলিসির কারনে পাকিস্তানের থেকেও বড় শত্রু তৈরি হবার প্রসেসে আছে এখন। সময় থাকতে পলিসি বদলে বাংলাদেশের মানূষের অভিজ্ঞতা এবং কস্টগূলো বোঝার চেস্টা করা দরকার।
এখন অনলাইন ঢুকলেই ভারতের হিন্দুদের বাংলাদেশ নিয়ে এক কাড়ি মিথ্যা কথা বলতে দেখা যায়। এমনকি ডোনাল্ড ট্রাম্পের টূইটারে গিয়ে ভারতিয় হিন্দুরা বাংলাদেশ নিয়ে আজগুবি সব প্রপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প কিংবা কামালা আমাদের দেশের কোন বালও ছিড়তে পারবেনা। আমেরিকার স্যাংশন দিতে দিতে এখন সেটা অকারযকর বানিয়ে ফেলছে। আমেরিকাকে দিয়ে যদি ফাজলামি করতে আসে ভারত, বাংলাদেশ সোজা গিয়ে চীনের কোলে উঠবে এবং ভারতের কপাল স্থায়ীভাবে পুড়ে যাবে।
এটা যে কতবড় ভুল, যখন ভূল শোধরাবার সময় চলে যাবে তখন বুঝতে পারবে ভারত। কিন্তু ততক্ষন খাচার পাখি উড়ে তেপান্তর চলে যাবে। সীমানায় শুধু চাইনিজ এন্টি মিসাইল ডিফেন্স দেখা যাবে।
আমার সাজেশন হলো, পলিসি পুরো বদলে ফেলেন, ইসরায়েল বহু দূরে, ফিলিস্তিন বহু দূরে, এদের সাথে ভালো খারাপ সম্পরকে কিছু আসে যায়না, কিন্তু মুসলিম বিদ্দেষি ইসরায়ল আর সৈড়াচার হাসিনা এই পক্ষ নিলে বাংলাদেশের কোটি কোটি মানূষ ভারতের ধংসের জন্য কাজ করবে।
তাই জনবল ব্যবহার করে দেশের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য প্রচার করা বন্ধ করুন। দেশের মানুষের কাছে প্রমান করুন যে আপনারা দেশের ভালো চান, ইউরোপের দেশগুলো যেরকম একজন আরেকজনের সাথে থাকে সেরকম পরিস্থিতি তৈরির পথ পরিস্কার করুন। হিন্দুদের উপর হামলার যে প্রপাগান্ডা ছড়াচ্ছেনা আমেরিকার কাছ থেকে একটু ভেবে দেখুন তাতে লাভ কি হবে? বাংলাদেশে সরকারের পতনের আমেরিকার কোনই ভুমিকা ছিলোনা। আপনাদের র এর এত ততপড়তা সত্তেও সরকারের পতন হয়েছে। আবারও যদি একটা সরকার বসান, সেই সরকারেরও পতন হবে এবং পরিনামে ভারত বিদ্দেষির পরিমান আরও বাড়বে।
বরং সরকার যেই আসুক সেই সরকারের সাথেই হাটুন। সুজোগ সুবিধা প্রদান করুন, র এর এজেন্ট দিয়ে প্রতিনিয়ত বাংলাদেশ বিরোধি কারযকলাপ চালানো বন্ধ করুন। বরতমানে যে সরকার আছে সেই সরকারকেও সহায়তা করুন, কারন সরকার কিছুনা, আপনাদের টারগেট রাখুন দেশের মানূষকে সহায়তা করানোর যেনো এমন পরিস্থিতি স্রিস্টি হয়ে যে ভারত বিরোধি সরকার আসলে দেশের মানুষই সেই সরকার উতখাত করে ভারতের বন্ধু সরকার বসায়। আপনাদের ফোকাস পুরোপুরি ভুল জায়গায়, কারন মেজরিটীর দিকে নজর না দিয়ে আপনারা একদল চরমপন্থি দিয়ে কাজ হাসিল করতে চাচ্ছেন এতে কাজ হাসিল হবে, তবে অল্প কয়দিনের জন্য। করিডর পাবেন, কিন্তু অল্প কয়দিনের জন্য, রেললাইন পাবেন কিন্তু চালাতে পারবেননা। এর মূল কারন, বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানূষ এখন ভারতীয় হিন্দুদের দেশের জন্য হুমকি মনে করে। এই কারনে পলিসি চেঞ্জ করে ভেতরে এবং বাহিরে, গোপনে এবং প্রকাশ্যে প্রতি ক্ষেত্রেই বাংলাদেশের মানুষের ভালোর জন্য যদি কাজ করেন, এবং মিডিয়া ব্যবহার করে সেটা প্রচারও করে দেন, পরিনামে ভারতের জন্যও সেটা ভালো হবে, ইউরোপের দেশগুলোতে যেমন এক দেশের সরকার আসলে গেলেও তাদের সম্পরকে পরিবরতন হয়না সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি করুন।
কারন এনএসআই তে যে ভারতের লোক গুলো বসিয়ে দেশের প্রতিবাদিদের টরচার করেন, এগুলো কিন্তু পরে বের হয় আর আরও বেশি পরিমান বিদ্দেষ স্রিস্টী হয়। এরা মানূষকে টরচার করে আবার হিন্দিতে কথা বলে। হাসিনা বা জয়, এরা শুধুমাত্রই মানূষ, এদের আয়ু কত বছর? এরা প্রাইম ইয়ার গুলোতে সৈরাশাসন করে কয়দিন আপনাদের কব্জায় রাখবে? এটাকি সাস্টেইনেবল পলিসি? এভাবে কি দুটো দেশের মধ্যে গাড় বন্ধুত্ত রাখা যায় ? ভারতের মতো এত বড় দেশ নিয়ে এই রকম ভঙ্গুর পলিসি নিয়ে চললে সুপারপাওয়ার হবার সপ্ন সপ্নই থেকে যাবে। ভারতের মিডিয়া গুলো এই মুহুরতে হাসিনার দালালি করে পোস্ট দেয়। কি আজব ব্যাপার, দেশের কোটি কোটি মানুষের উপর জুলুম করে যে ভারত পালালো তার পক্ষ নিয়ে আপনার কি উদ্দেশ্য হাসিল করবেন? আরো কয়েকটা দুরব্রিত্তকে বুঝাবেন যে ভারতের দালালি করলে নিরাপদে পালানো যায়? এটা কি দিরঘমেয়াদি চৌকষ পলিসি? দেশের মানূষও তো সাথে সাথে বুঝে যাচ্ছে যে আপনারা এই দেশের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
পলিসি পাল্টালে এবং বাংলাদেশের সাধারন মানূষ, হিন্দু বৌদ্ধ কিংবা খ্রিস্টান না, বরং সব মানূষের জন্য কাজ করেন, আপনাদের গলার নিচের কাটা তখন আর কাটা থাকবেনা, বন্ধুতেই রুপান্তরিত হবে, নিজেকে শুধ ভারতের সারথ দেখবেন ভাবলে দিরঘমেয়াদি ক্ষতি হয়ে যাবে, ক্ষতি হয়ে গিয়েছে। আগামিতে আরও হবে, জেনারশনের পর জেনারেশন, কোটি কোটি বাংলাদেশ ভারত ঘ্রিনা করে। এই ঘ্রিনা কি আরও দেশ বিরোধি প্রপাগান্ডা দিয়ে কমাতে পারবেন? একটু মাথাটা খাটান।
ভারতের পক্ষে নিয়ে প্রথম আলো কিংবা ডেইলি স্টারের মালিক এইরকম একটা দুইটা শয়তান আপনাদের পক্ষে কথা বললে হয় কি জানেন? দেশের মানূষ ওদের তো ঘ্রিনা করেই, আপনাদের আরও দিগুন মাত্রায় ঘ্রিনা করে। এমন পরিস্থিতি তৈরি করেন যে নেতা না বরং জনগন আপনাদের পক্ষে থাকে। আর সেটার জন্য আপনার পলিসিতে ব্যপার হারে পরিবরতন দরকার। একটা নেতাকে সাপোরট দিলে সেই নেতার সব কুকরমের দায় আপনাদের ঘাড়েই পরে, সব ঘ্রিনাও একই জায়গাতেই পরবে, নেতা সাপোরট বাদ দিয়ে জনগনকে সাপোরট করুন, মিডিয়াগুলোকেও বাধ্য করুন যেনো বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কথা না বলে কারন আপনাদের মিডিয়া কোথায় কি বলে বেড়াচ্ছে এখন কিন্তু দেশের মানুষ সবই দেখে। আর বুঝে ফেলে কার কি মতলব। বাংলাদেশের মানূষের দুরভোগ লাঘবে আপনাদের কোন আগ্রহই তারা দেখেনা শুধু দেখে মাইনোরীটি পুজি করে বাংলাদেশের ক্ষতি করার যে প্রয়াস, এটা লংটারমে কি আপনাদের সারথের জন্য আসলেই ভালো হবে? বরনবাদি বিদ্দেষ দিয়ে কোন দেশে ভালো কিছু হয়েছে একটু দেখেন। আমেরিকাতে হয়েছে গ্রিহযুদ্ধ। ইউরোপে শুরু হয়েছিলো বিশ্যযুদ্ধ। এই পথে কেনো এগোচ্ছেন।
ড ইউনুস এই কারনেই বলেছেন, বাংলাদেশে স্থিতি না থাকলে সেভেন সিস্টারস কিংবা কোথাও স্থিতি থাকবেনা। আর সেই স্থিতি আনতে গিয়ে যদি সৈরশাসন বসানোর প্রচেস্টা করেন, সেটা হবে বারুদে আগুন দিয়ে সেটাকে চেপে রেখে একটা বোমা বানিয়ে ফেলা, যতই সময় যাবে চাপ ততই বাড়বে যতক্ষন পরযন্তনা দেশে ভারত বিদ্দেষের মহাবিস্ফোরন ঘটে। এখনো বিদ্দেষ চরম মাত্রায় থাকলেও বিস্ফোরন কিন্তু ঘটেনি। সেটা ঘটার আগেই দ্রুত বাংলাদেশের সাথে বন্ধুর মতো আচরন করুন, বাংলাদেশের শত্রুদের আশ্রয় দেয়া বন্ধ করুন।