আপনি যখন নির্বোধের দেশে বাস করবেন তখন যে শুধু আপনার আয় করতেই যে সীমহীন কস্ট হবে তা নয়। সেটা ব্যয় করতেও পোহাতে হবে নানা রকম ঝামেলা।
বাংলাদেশে দুর্নীতি এবং আরও বিভিন্ন অনিয়মের কারনে দেশে বেচে থাকাই যেখানে মুশকিল সেখানে ধীরে ধীরে সংক্রমিত হয়েছে নতুন এক ব্যধি। যারা নামে ছেড়া টাকা। একটা নোট ছেড়া ফাটা হলে আন্তরজাতিকভাবে সেটার দাম কমে যায়না কিংবা নতুন হলে সেটার দাম কিন্তু যা লেখা আছে তার থেকে বেশিও হয়না।
তবে অনিয়মের দেশে কিন্তু তার ব্যতিক্রম। টাকা ছেড়া হলে সেটা নেবেনা কেউ। হয়তোবা বেতনের হাজার খানেক টাকা তুলে আনলেন, গেলেন বাজারে। এরমই মধ্যে দেখবেন দোকানি একটা নোট বাড়িয়ে বলে ভাইজার এটা চেঞ্জ করে দেন। হায়রে চেঞ্জ, মুরখের দল ইনরেজি শব্দ ব্যবহার করে অথচ একটা নোট ছেড়া হলে সেটা পরিবর্তন করতে বলার সুদুর প্রসারী প্রভাবের কথা একবারও ভাবেন।
ও যখন নোটটা রিফিউজ করে, তখন ক্রেতাকেও তো একই জিনিস করতে উদ্ভুদ্ধ করে। এই ক্রেতাও ছেড়া টাকা নেয়া বন্ধ করে দেয়, ফলে এক দুষিত সভাবের সংক্রমন ঘটে যা আপনার কস্টের উপার্জনের টাকাকেও এক মুহূর্তে বিকল করে দেয় মূর্খদের এই দেশে।
আর মূর্খদের এই দেশের একজন আরেকজনের মুরখতায় সবাই এতটাই কাহিল যে এই ছোট ব্যপারটী নিয়ে এত ডিসকাশনের সময়ও কার নেই, তারা ছেড়া হলে নিজের ভাগ্যকে গালি দিয়ে নতুন আরেকটি নোট খোজেন কিংবা নোটটি আলগোছে আরেকজনকে গছিয়ে দিতে চেস্টা করেন।
মুলত যখন দেশে মূর্খদের আধিক্য বারে, তখন একজন আরেকজনকে এভাবেই হয়রানি করে হয়রানির একটি শৃঙ্খল বিক্রিয়া শুরু করেন যেখানে এই হয়রানি জাতীয় আকৃতি ধারন করে।
দেশের জনগন যখন নির্বোধ হয়, সভাবতই তাদের শাসকও নির্বোধ হয় যেহেতু শাসক তো তাদের মধ্য থেকেই আসে। যখন মানূষেরা অন্যদের হয়রানি করতে পিছুপা হয়না, তারা নিজেরাও ক্রমাগত একই হয়রানির শীকার হতে থাকে।