তিস্তা বাঁধের কারণে সীমান্তের মানুষদের ওপর যে হুমকি এসেছে, তা বিভিন্ন কারণে স্পষ্ট। তিস্তা নদী ভারত ও বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ জলস्रोत, তবে ভারতের বিভিন্ন বাঁধ নির্মাণের ফলে বাংলাদেশের দিকে পানি প্রবাহ মারাত্মকভাবে কমে গেছে। এতে বাংলাদেশে কৃষি, মাছ ধরার কাজ এবং সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা প্রভাবিত হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতীয় বাঁধগুলোর কারণে তিস্তার জল প্রবাহ হ্রাস পাচ্ছে, যা বাংলাদেশে কৃষিকাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রতিদিন বাংলাদেশে প্রয়োজনীয় ৫,০০০ কিউসেক জল প্রবাহের পরিবর্তে বর্তমানে ১,২০০ থেকে ১,৫০০ কিউসেক পানিই পৌঁছাচ্ছে। এ অবস্থায় কৃষকরা বাধ্য হচ্ছেন সেচের জন্য অতিরিক্ত খরচ করতে, এবং অনেকের আবাদী জমি শুকিয়ে যাচ্ছে
এছাড়া, তিস্তা নদী শুষ্ক হয়ে পড়ার কারণে জীববৈচিত্র্যের উপরও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। আগের মতো নদীতে মাছ ধরা সম্ভব হচ্ছে না এবং অনেক ফসল উৎপাদন করা কঠিন হয়ে পড়েছে। কৃষি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নদীর উপকূলে বসবাসকারী জনগণের জন্য এই পরিবর্তনগুলো তাদের জীবনমানকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে
বাংলাদেশ সরকার ইতিমধ্যে ভারতের পরিকল্পনার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে কাজ শুরু করেছে। তারা নদী উন্নয়ন পরিকল্পনায় কাজ করছে, তবে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সঠিক সমঝোতার অভাব থাকায় সমস্যাগুলি সমাধান হচ্ছে না। এর ফলে সীমান্তের মানুষদের জন্য সমস্যা আরো ঘনীভূত হচ্ছে
তিস্তা নদীকে রক্ষায় উভয় দেশের জনগণের মধ্যে সহযোগিতা ও সংলাপের প্রয়োজন। একত্রে কাজ করলে তারা নিজেদের সমস্যা মোকাবিলা করতে সক্ষম হবেন এবং টেকসই সমাধানের জন্য সরকারের কাছে দাবী জানাতে পারবেন।