উপসর্গ: উপসর্গ হলো এমন কিছু শব্দাংশ, যা মূল শব্দের পূর্বে বসে নতুন শব্দ গঠন করে এবং শব্দের অর্থে পরিবর্তন বা বিশেষত্ব যোগ করে। উপসর্গগুলো নিজে কোনো অর্থ বহন করে না; তবে মূল শব্দের সাথে যুক্ত হয়ে ভিন্ন বা নতুন অর্থ প্রকাশ করে।
উপসর্গের প্রকারভেদ: উপসর্গ প্রধানত দুই প্রকারের হয়:
- বাংলা উপসর্গ
- তৎসম উপসর্গ (সংস্কৃত উপসর্গ)
১. বাংলা উপসর্গ
বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত উপসর্গগুলোকে বাংলা উপসর্গ বলা হয়। এই ধরনের উপসর্গ মূলত বাংলা থেকে উদ্ভূত এবং বাংলা শব্দের সঙ্গে যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ তৈরি করে।
উদাহরণ:
- অধি + কার = অধিকার
- বি + জ্ঞান = বিভ্রান্তি
- অনু + প্রবেশ = অনুপ্রবেশ
২. তৎসম উপসর্গ (সংস্কৃত উপসর্গ)
সংস্কৃত ভাষা থেকে আগত উপসর্গগুলোকে তৎসম উপসর্গ বলা হয়। এগুলো সাধারণত বাংলা ভাষায় সংস্কৃতের প্রভাব দেখায় এবং একইভাবে শব্দের অর্থে পরিবর্তন ঘটায়।
উদাহরণ:
- প্রতি + রোধ = প্রতিরোধ
- আ + গমন = আগমন
- উপ + যোগ = উপযোগ
আরও উদাহরণসহ ব্যাখ্যা:
- নি + যুক্তি = নিযুক্তি (উপসর্গ ‘নি’ যোগে শব্দের অর্থে সুনির্দিষ্টতা যোগ হয়)
- অব্য + বাহিত = অব্যবাহিত (উপসর্গ ‘অব্য’ দ্বারা নিরবচ্ছিন্নতার ভাব প্রকাশ পায়)
উপসর্গ ব্যবহারের ফলে নতুন শব্দ গঠন এবং ভাষার সমৃদ্ধি ঘটে।