হেডলাইন

ইসলাম ধর্মে এত অন্যায় অত্যাচার কেন? নারীদের স্বাধীনতা কেন তারা দিতে চায় না?

এসব ক্ষেত্রে এরকম ভাবেও বলা যায়, খ্রিস্টান ধর্মে এত যুদ্ধ কেন? হিন্দু ধর্মে এত অনাচার অবিচার কেন ? আসলে এই ধর্ম গুলোর কোনটিতেই নারীর প্রতি অবিচার বা বৈষম্য করতে বলা হয়নি।

নারীদের প্রতি বৈষম্য আসলে মানূষের নিজেদের মনোভাবের বহিপ্রকাশ বিশেষ করে পুরুষতান্ত্রিক সমাজে একটা প্রচলিত ভুল ধারনা যে পুরষ নারীর থেকে সুপেরিয়র। এই ধরনের সুপ্রিমেসিগুলো কোন ধর্ম থেকে আসেনি। এগুলো মানূষের নিজ “গুনে” এসেছে।

প্রতিটি ধরমেই মূলত সত্যের পুজো করার কথা বলা হয়েছে আর খারাপের বিপরীতে যুদ্ধ করতে বলা হয়। ধর্মগুলো আদর্শ মানূষেরা মূলত অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধ যুদ্ধ করে জয়লাভ করেন এবং ন্যায়ের শাসন প্রতিষ্ঠা করেন। ইসলামও তার ব্যতিক্রম নয়। যেসব মুসলিম সমাজ নারী সাধিনতা দিতে অনীহা প্রকাশ করে তারাও মূলত নিজের মতিগতি অনূসরন করে।

কোরান আর হাদিস পরলেই এগুলো পরিস্কার হয়ে যাবে।

আর একটা কথা পরিস্কার করে দেই শেষে, আমি কিন্তু কোন ধর্মে বিশ্বাস করিনা, আমি একজন নাস্তিক। কিন্তু যদি কোথাও ভালো কথা থাকে তা অস্বীকার করার কোন কারন দেখিনা। ইসলামে মূলত নারীদের প্রতি আলাদা সম্মান ও অধিকার প্রদান করা হয়েছে। এটাকেও অবশ্য বৈষম্য হিসেবেই দেখতে পারেন। ইসলাম নারীকে আটকে রাখার কোন সূজোগ দেয়নি।

এমনকি মুহাম্মদ সঃ এর স্ত্রিগনদেরও তিনি কোন এক প্রেক্ষাপটে অভাবের সময় তারা তাকে আল্লাহর কাছে সম্পদের জন্য দোয়া করতে বলার সময় তিনি রাগান্নিত হলেও তাদের উপর জোর করেননি বরং তাদের বলেছিলেন, যদি তারা সম্পদ চায় তাহলে তিনি তাদের তার স্ত্রি হওয়া থেকে মুক্ত করে দেবেন যেন তারা তাদের নিজেদের পথ বেছে নিতে পারে। তিনি তাদের তার নীতিগুলো মানতে বাধ্য করেননি বরং চলে যাবার সূজোগ দিয়েছিলেন।